দুয়ারে সরকার, দুয়ারে ভ্যাকসিন, দুয়ারে রেশনের পর এবার দুয়ারে পানীয় জল পরীক্ষা। এই প্রকল্প চালু করার উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। অভিনব এই প্রকল্পে পঞ্চায়েতের মহিলাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পানীয় জল পরীক্ষা করবেন। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েতগুলির কাছ থেকে পাঁচজন করে মহিলাকর্মীর নাম চেয়ে পাঠায়, যাঁদের এই ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
২০২৪ সালে মধ্যে প্রতিটি বাড়িতে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে রাজ্য সরকার। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় নতুন জলপ্রকল্প তৈরি হচ্ছে। তবে অভিযোগ উঠেছে, এই পানীয় জল যথাযথভাবে পরিস্রুত করা হয় না। মাঝেমধ্যে পানীয় জলের সঙ্গে নোংরা মিশে গিয়ে এলাকায় ডায়ারিয়াও ছড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু কোথাকার জল থেকে এই সমস্যা, তা পরীক্ষা করতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়।
রাজ্য সরকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে পানীয় জল পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেছে। পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, প্রতিটি এলাকায় নলকূপের জল পরীক্ষার জন্য লোক আছে। যদিও টাকাপয়সার একটা সমস্যার কারণে অনেক সময়েই এই কাজ ঠিকমতো করা হয় না। ফলে সমস্যায় পড়ে সাধারণ মানুষ। কোন নলকূপে কতটা আর্সেনিক বা আয়রন আছে, সেটা তারা জানতে পারে না। অথচ দিনের পর দিন তারা ওই জল পান করে যায়।
জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের এক কর্তা জানান, পাইপলাইনের সরবরাহ করা জলের পাশাপাশি নলকূপের জল পরীক্ষার ব্যবস্থাও থাকবে এই প্রকল্পে। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায় জানান, মানুষের কাছে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। সেই কারণে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। মানুষের দুয়ারে সরকারের লোক পৌঁছে পানীয় জল পরীক্ষা করে দিয়ে আসবে।