আন্তর্জাতিক

করোনার ডেল্টা স্ট্রাইনের দাপট আমেরিকা–ব্রিটেনে

টিকার ডবল ডোজ নিলে মাস্ক আর বাধ্যতামূলক নয় বলে সম্প্রতি ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বেয়াড়া কোভিডকে কাবু করে ফেলেছে আমেরিকা। কিন্তু সেই কোভিডের নতুন স্ট্রেইন ‘ডেল্টা’ এবার দাপট দেখাতে শুরু করেছে মার্কিন মুলুকে। পরিস্থিতি আবার আগের মতো হতে পারে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।

আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এবার ডেল্টা স্ট্রেইনে আক্রান্তের সংখ্যাই বেশি। ৬ জুলাই শেষ হওয়া সপ্তাহে দৈনিক ১৩ হাজার ৮৫৯ জন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণ বৃদ্ধির হার প্রায় ২১ শতাংশ। তবে সিডিসি জানিয়েছে, এই তথ্যের মধ্যে স্বাধীনতা দিবস অর্থাৎ ৪ জুলাইয়ের হিসেব নেই। সেদিন যেহেতু সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমেছিলেন, তাই বিপদ আরও বাড়তে পারে। তাই প্রকৃত পরিস্থিতি আঁচ করা যাচ্ছে না।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি টিকাকরণ হয়েছে আমেরিকাতেই। এখনও পর্যন্ত সেখানে ৬৭ শতাংশ আংশিক বা সম্পূর্ণ টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে। ক্ষমতায় এসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাধীনতা দিবসের আগে ৭০ শতাংশ টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছিলেন। ৪ জুলাই স্বাধীনতা দিবস পার হলেও সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যায়নি। জন্স হপকিন্স সেন্টার ফর হেল্থ সিকিউরিটির পক্ষে আমেশ আদলিজা বলেন, ‘‌দক্ষিণের থেকে উত্তরপূর্বে টিকাকরণ বেশি হয়েছে। আর সংক্রমণের হার বেশি দক্ষিণের প্রদেশগুলিতেই।’‌

মিসৌরির স্প্রিংফিল্ডের একটি হাসপাতালে রোগীর চাপ এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, ভেন্টিলেটরের সঙ্কট দেখা দেয়। ১ লক্ষ ৬০ হাজার জনসংখ্যার এই শহরে ২৪ মে করোনা আক্রান্ত ছিলেন মাত্র ৩১ জন। গত শুক্রবার তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬৮ জন। ডেল্টার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে ব্রিটেনেও। সেখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩২ হাজার পার করে গিয়েছে। জানুয়ারির পর থেকে এত বেশি আক্রান্ত দেখা যায়নি ব্রিটেনে।