জল্পনাই সত্যি হল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বড় রদবদলের আগেই দেবশ্রী চৌধুরীকে ইস্তফার নির্দেশ দেওয়া হল। সূত্রের খবর, বিজেপির পক্ষ থেকে তাঁকে নারী ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বলা হয়েছে। আজ মন্ত্রিসভার রদবদলে দেবশ্রী চৌধুরী মন্ত্রী পদ হারাতে পারেন বলেই আগেই শোনা যাচ্ছিল। আজ, বুধবার সন্ধ্যেবেলা মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের শপথগ্রহণ হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে দেবশ্রী চৌধুরীর জায়গায় লকেট চট্টোপাধ্যায় আসছেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের পর চর্চা হচ্ছিল, রাজ্য সরকারের বিপরীতে গেরুয়া শিবিরকে নেতৃত্ব দিতে ‘বাংলার মেয়ে’র উপরই ভরসা রাখা হতে পারে। কারণ চলতি বছরেই রাজ্য সভাপতি হিসেবে শেষ হচ্ছে দিলীপ ঘোষের মেয়াদ। এক্ষেত্রে দেবশ্রী চৌধুরী কিংবা লকেট চট্টোপাধ্যায়কে বেছে নেওয়া হতে পারে। কিন্তু দেখা গেল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে উঠে আসে বিজেপি সাংসদ লকেটের নাম। পাশাপাশি বাংলা থেকে শান্তনু ঠাকুর এবং নিশীথ প্রামাণিকও মন্ত্রিসভার সদস্য হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু সেখানে দিলীপ ঘোষের নাম নেই। তাই রাজ্য সভাপতির পদও দেবশ্রীকে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে সন্দীহান রাজনৈতিক মহল।
এদিন পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল এবং শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ারকেও। সূত্রের খবর, মন্ত্রিসভায় যুক্ত হতে চলেছে গতবছর বিজেপিতে যোগ দেওয়া জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সর্বানন্দ সনওয়াল, ভুপেন্দ্র যাদব, নারায়ণ রানে-সহ বেশ কিছু নতুন নাম। অর্থাৎ মন্ত্রিসভায় যে বড়সড় রদবদল হতে চলেছে, সে নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।