বালুরঘাটে আদিবাসী তিন মহিলাকে দণ্ডি কাটিয়ে তৃণমূলে ফেরানোর ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম বিশ্বনাথ দাস ও আনন্দ রায়। তাঁদের বিরুদ্ধে আইপিসি ৫০৫ ধারা ও এসসি এসটি এক্ট এ মামলাও রুজু করেছে পুলিশ। এই ঘটনার জেরে এবার ‘মূল অভিযুক্ত’-কে গ্রেফতারির দাবিতে সোমবার অর্থাৎ ১৭ এপ্রিল ১২ ঘণ্টা বাংলা বনধের ডাক দিল আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাত্রে তপন থানার পুলিশ গোপন সুত্রে ওই দুই জনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের মধ্যে একজন বালুরঘাট পুরসভার অস্থায়ী কর্মী বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। ধৃতদের শুক্রবার আদালতে হাজির করায় পুলিশ। বিচারক তাঁদের আগামী ১৭ই মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশ অবশ্য ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার কোন আবেদন এই দিন করেনি বলে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী।
এই গ্রেফতারী নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিজেপির নেতা বাপি সরকারের অভিযোগ, ঘটনার এত পর সক্রিয় হয়ে পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করে প্রধান অভিযুক্তকে আড়াল করছে। তৃণমূলের জেলা নেত্রীকে কেন এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হল না? এদিন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এই গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা সুভাষ চাকি জানান, আইন আইনের পথে চলবে। দল এই ধরনের ঘটনাকে সমর্থন করে না বলেই জানান তিনি।