ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

করোনা পরীক্ষার খরচ কমছে

রাজ্যে করোনা পরীক্ষার খরচ কমছে। এবার বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে কোভিড টেস্টের খরচ কমে দেড় হাজার টাকা হচ্ছে। সোমবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে এই কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোর আগে রাজ্যবাসীর জন্য সুখবর বলা যেতে পারে। কারণ এখনও রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দুর্গাপুজোর সময় তা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্থির হয়েছে প্রাইভেটে কোভিড টেস্টের খরচ কমিয়ে ১,৫০০ টাকা করা হবে। অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া কমানোরও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া কমাতে হবে। ৬০০ কোভিড বেড বাড়ানো হয়েছে। ২৪৭৫ জন নার্স বাড়ানো হবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁদের নিয়োগ করা হচ্ছে। কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে, সরকারি হাসপাতালে বেড নেই বলেই কী এই অবস্থা?‌
এলাকায় ব্যক্তিগতভাবে রোগীদের পরিষেবা দিয়ে থাকেন, এমন চিকিৎসকদের জন্য নিয়ম শিথিল করা হবে। যাতে তাঁরা নির্ভয়ে পরিষেবা দিতে পারেন। ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট অ্যাক্টের খুঁটিনাটি নিয়ন্ত্রণ থেকে তাঁদের মুক্ত করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পুজোর সময় জরুরি পরিষেবা এবং কোভিড পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ২৪x৭ ভিত্তিতে কন্ট্রোলরুম চালু থাকবে নবান্নে। পুজোর সময়ে এই নম্বরে ফোন করে যে কোনও সহযোগিতা পাওয়া যাবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‌প্রত্যেকে মাস্ক পরুন। একটা পরিবারের একজনের হলে আরও চার–পাঁচজনের হয়ে যাচ্ছে। কেউ স্বীকার না করলেও গোষ্ঠী সংক্রমণ হচ্ছে। সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এখন রাজ্যের সীমান্তে লরি চলছে। ভিন রাজ্যের অনেক লরি চলছে। অনেক স্পেশাল ট্রেনও চলছে। যখন বাজারে কেনাকাটা করতে যাবেন অথবা পুজো মণ্ডপে যাবেন অবশ্যই মাস্ক পরুন।’‌
পুজো কমিটিগুলির উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, পুজো কমিটিগুলির কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা মাইকে প্রচার করবেন। দর্শনার্থীদের সচেতন করবেন। যাঁরা মাস্ক পরে আসবেন না, তাঁদের আলাদা করবেন। দরকার হলে তাঁদের হাতে মাস্ক তুলে দিন। হাতে স্যানিটাইজার দিন। সবাই এটা করলে আরও ভালো হবে।