দেশ লিড নিউজ

স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে

জুলাই মাসে ক্ষান্ত দিলেও আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই শহরে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করে। শুরু হয় প্রশাসনিক তৎপরতা। বাজার ও ঘিঞ্জি এলাকায় আবার নতুন করে শুরু হয় পুরসভা ও পুলিশের অভিযান। জোর দেওয়া হয় টিকাকরণে। যার ফল হাতেনাতে মিলছে বলেই মত পুরসভার। গত ২০ দিনের হিসেব বলছে, সংক্রমণের হারে লাগাম পরানো গিয়েছে। পুজোর বাজার যখন তুঙ্গে তখন তুমুল ভিড়েও শহরে সংক্রমণ মোটামুটি নাগালের মধ্যেই রয়েছে।

কলকাতা পুরসভার দাবি, মাঝে দৈনিক সংক্রমণ ধীরগতিতে বাড়ছিল। তবে, এখন আক্রান্তের হার একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় আটকে রাখা গিয়েছে। তথ্য বলছে, গত ১ আগস্ট শহরে ৬০ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। ২০ আগস্ট, যখন পুজোর বাজার মোটামুটি শুরু হয়েছে, সেদিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয় ৮৮। তড়িঘড়ি নজরদারি বাড়ায় প্রশাসন। ২৭ আগস্ট থেকে শুরু হয় বিভিন্ন বাজারে মাইকিং। বাড়ে পুলিশি নজরদারি। সেদিন আক্রান্ত হয়েছিলেন ১১২ জন।

তারপর থেকে সংক্রমণের হারকে মোটামুটি একটা গণ্ডির মধ্যে বেঁধে রাখা সম্ভব হয়েছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর শহরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ১২৭ জন। আবার ২০ সেপ্টেম্বর সেই সংখ্যাটা খানিকটা কমে হয় ১০৫। ২৭ সেপ্টেম্বর সেটা এক ধাক্কায় নেমে আসে ৭৬-এ। তবে ১ ও ২ অক্টোবর সেটা আচমকা বেড়ে হয় যথাক্রমে ১৪৬ এবং ১৪৯ জন। আবার, ৫ অক্টোবর সেই সংখ্যা খানিকটা কমে হয়েছে ১২৬ জন। অর্থাৎ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ওঠানামা করছে।

কিন্তু কীভাবে লাগাম পরানো গেল সংক্রমণে? সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, প্রচার এবং সচেতনতার পাশাপাশি সবথেকে বেশি কাজ করেছে টিকাকরণ। কলকাতায় ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রায় ৯০-৯৫ শতাংশ বাসিন্দার অন্তত প্রথম ডোজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় ৫৫ শতাংশ মানুষের দ্বিতীয় ডোজও সম্পূর্ণ। মাস খানেকের মধ্যেই শহরে আঠারোর্ধ্ব ১০০ শতাংশ বাসিন্দাকেই টিকা দেওয়া হয়ে যাবে। এই টিকাই সংক্রমণকে বাগে নিয়ে আসার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।