বাংলাদেশে দ্বিতীয় দফার লকডাউন ঘোষণায় সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। লকডাউনের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। রবিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭০৮৭ জন, নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩০৭২৪টি। ফলে সংক্রমণের হার ২৩.০৭ শতাংশ। এই পরিস্থিতিতে কালবৈশাখীর তাণ্ডবলীলায় তছনছ বাংলাদেশের একাংশ। ঝড়ের তাণ্ডবে কমপক্ষে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে তিনজন মহিলা বলে খবর।
প্রথম দফার লকডাউনে পড়ে অনেকেই ঋণগ্রস্ত হন। লকডাউন উঠে যাওয়ার পরে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। এই অবস্থায় দ্বিতীয় দফার লকডাউটনের ঘোষণা তাঁদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছে। লকডাউনের বিরোধিতা করে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, গতবছর করোনা অতিমারির কারণে ৬৬ দিন লকডাউন চলে। তাতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। সেই ক্ষতি কাটাতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। আর তখনই ফের লকডাউন।
আজ সোমবার ৬টা থেকে লকডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা বাংলাদেশ জুড়ে। চলবে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত। শনিবারই এক সপ্তাহ লকডাউনের কথা ঘোষণা করা হয় সরকারের তরফে। সে দিন সরকারি ছুটি থাকায় রবিবার মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ লকডাউনের বিজ্ঞপ্তি জারি করে। আবার বাংলাদেশ আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুরা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ি, ফরিদপুর, যশোর এলাকায় রবিবার বিকেলে ঝড় হয়। কয়েকটি এলাকায় শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। ঢাকাতেও সামান্য শিলাবৃষ্টি হয়েছে বলে খবর। ঢাকায় ঝড়ের বেগ ছিল ঘণ্টায় ৬৪ কিমি। কালবৈশাখীর তাণ্ডব চললেও গরম থেকে স্বস্তি পেয়েছেন বাংলাদেশবাসী। রবিবারের বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কিছুটা নেমেছে।