দেশ লিড নিউজ

করোনা রোগী বাড়িতে, নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের

সব করোনা পজিটিভ রোগীর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। এই মর্মেই নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। অথচ গোটা দেশে বিভিন্ন রাজ্যকে রেড, অরেঞ্জ এবং গ্রিন জোনে ভাগ করা হয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। তাহলে কী গোটা দেশের পরিস্থিতি খুব খারাপ?‌ হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে বাড়িতে থাকতে বলা হচ্ছে কেন?‌
কেন্দ্রীয় চিকিৎসা গবেষণা সংস্থা আইসিএমআরের নির্দেশিকা মেনে করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা হাসপাতালে হওয়া বাধ্যতামূলক। তাঁর বাড়ির লোক এবং তাঁর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও সরকারি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে থাকা বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু সেই নির্দেশিকায় বদল আনা হয়েছে। এই বদল কেন?‌ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নেপথ্যে কোনও অজ্ঞাত কারণ রয়েছে কিনা তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জারি গাইডলাইনে বলা হয়েছে, করোনা পজিটিভ রোগীর শরীরে খুব কম মাত্রায় উপসর্গ রয়েছে অথবা উপসর্গ নেই, তাঁদের হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। নির্দেশিকায় বলে দেওয়া হয়েছে, আগে করোনা আক্রান্তদের যে কোনও ফেজেই ভর্তি হতে হত কোভিড কেয়ার সেন্টার, ডেডিকেটেড কোভিড হেলথ সেন্টার অথবা ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে। এবার থেকে যে রোগীর উপসর্গ খুবই সামান্য বা উপসর্গ শুরু হওয়ার আগের মুহূর্তে রয়েছেন, তাঁদের বাড়িতে সুবিধে থাকলে তাঁরা সেখানেই সেল্ফ আইসোলেশনে থাকতে পারবেন।
সেক্ষেত্রে চিকিৎসকদের কাছে শংসাপত্র নিতে হবে সংশ্লিষ্ট রোগীদের। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই ধরনের রোগীদের মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড এবং অ্যাক্টিভ করে রাখতে বলা হয়েছে। নিয়মিত নিজেদের স্বাস্থ্যের হাল জানাতে হবে জেলা সার্ভিলেন্স আধিকারিককে। রোগীকে সেল্ফ–আইসোলেশনের একটি অঙ্গীকারপত্রে সই করতে হবে। তবে নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধে বাড়লে, বুকে ক্রমাগত চাপ অনুভব করলে, মানসিকভাবে কোনও সমস্যা দেখা দিলে অথবা ঠোঁট বা মুখে নীলচে ছোপ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিত্‍সকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।