দেশের করোনা সংক্রমণের এক অন্যতম ‘হটস্পট’ হয়ে উঠেছে নয়াদিল্লি। বাড়তে থাকা সংক্রমণ ও সেই সঙ্গে অক্সিজেনের ঘাটতি ঘিরে মৃত্যুমিছিল ক্রমেই বাড়ছিল। এরপরই লকডাউনের সিদ্ধান্ত। এবার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানালেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে সংক্রমিতের সংখ্যা নেমে গিয়েছে ১০ হাজারেরও নিচে। এদিন আরও একটি ঘোষণা করলেন কেজরিওয়াল। তিনি জানিয়ে দিলেন, দিল্লিতে যে শিশুরা করোনায় বাবা–মা’কে হারিয়েছে তাদের পড়াশোনা ও অন্যান্য দায়িত্ব নেবে সরকার।
এদিন অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, ‘আমাদের সকলের জন্যই খুব যন্ত্রণায় কেটেছে বিগত দিনগুলি। বহু পরিবারই একের বেশি মৃত্যুর সম্মুখীন হয়েছে। বহু শিশুই বাবা–মা দু’জনকেই হারিয়েছে। আমি তাদের কষ্টটা বুঝি। আমি তাদের পাশে আছি। তাদের পড়াশোনার দায়িত্ব আমাদের। তাদের বেড়ে ওঠার সব খরচ জোগাবে সরকার। প্রতিবেশী ও পরিবারগুলিকেও বলতে চাই আপনারাও ওদের খেয়াল রাখুন। এছাড়াও এমন অভিভাবকরা আছেন যাঁদের সন্তান মারা গিয়েছে কোভিডে। কত পরিবার হারিয়েছে তাদের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্যকে। আমরা তাদেরও দেখভাল করব।’
সংক্রমণ কমার কৃতিত্ব তিনি দিচ্ছেন দিল্লিবাসীকেই। গত ২০ এপ্রিল সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার। তারপর তা ক্রমেই বাড়ছিল। বহুদিন বাদে এবার তা নেমে এসেছে সাড়ে ৮ হাজারে। পজিটিভিটি রেট যেখানে ২২ এপ্রিল পৌঁছে গিয়েছিল ৩৬ শতাংশে, সেখানে এখন তা কমে ১২ শতাংশ। এই বিষয়ে কেজরিওয়াল জানান, কৃতিত্ব দিল্লিবাসীর। কড়াভাবে আপনারা নিয়ম মেনে চলেছেন। তবে আত্মতুষ্টির জায়গা নেই। আরও কড়া হতে হবে। নাহলে ফের বাড়বে সংক্রমণ।
