দেশ ব্রেকিং নিউজ

ভাইরাসের ভোলবদল নিয়ে চিন্তিত কেন্দ্র

পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাত, দিল্লি, পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র এবং তেলঙ্গানার মতো ছয় রাজ্যে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের পরিবর্ত রূপ নিয়ে চিন্তিত মোদী সরকার। এই ছটি রাজ্যেই সবচেয়ে বেশি ভোলবদল করা ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। আলফা, বিটা, ডেল্টা এবং গামা, এই চারটিই দ্রুত ছড়িয়ে পড়া থেকে শুরু করে ফুসফুসে গিয়ে হামলা করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সক্রিয়। গোটা দেশে ১৭৪ টি জেলায় এই চার ভোল বদল করা ভাইরাস পাওয়া গেলেও ছ’টি রাজ্যে প্রভাব বেশি।

জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমেই করোনা ভাইরাসের ভোল বদল তথা নতুন চরিত্র কতটা ক্ষতিকারক তা জানা যায়। এর জন্য ভারত সরকার পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণীতে থাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিকেল জিওনমিক্স সহ গোটা দেশের ২৮টি গবেষণাগারের একটি গোষ্ঠী তৈরি করেছে। করোনার যেসব ভোল বদলের ভা‌ইরাস ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিলের মতো দেশ দাপিয়েছে, তা ঠিক কীভাবে ভারতে এল এবং কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে তার হদিশ পেতেই কাজ চলছে।

অরুণাচল প্রদেশ, অসম, মণিপুর, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, সিকিমের মতো উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির পাশাপাশি ওড়িশা, কেরল এবং ত্রিপুরায় ব্যাপক হারে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। কেন্দ্রের টার্গেট যেখানে পজিটিভিটির হার ৫ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনা, সেখানে এই রাজ্যগুলির একাধিক জেলায় সেই হার ১৬ শতাংশেরও বেশি। গত এক সপ্তাহ ধরে এই সংক্রমণের বৃদ্ধি লক্ষ করা গিয়েছে। আচমকা কেন বাড়ছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলি কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, কড়া চিঠি লিখে তা জানতে চেয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ।