বগটুই গ্রামে নির্মম হত্যালীলার পর আতঙ্কে বগটুই গ্রামের অনেক বাসিন্দাই এখনও গ্রামছাড়া৷ যে বাড়িগুলিতে মানুষ রয়েছে, তাও পুরুষ শূন্য৷ এই অবস্থায় ওই গ্রামে এসে সিবিআই কথা বলল বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে। গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে গত ২১ মার্চ রাতে কী ঘটেছিল তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা৷ ইতিমধ্যেই সিবিআই তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কেউ আছেন কি না, সেই খোঁজও নিতে শুরু করেছে সিবিআই কর্তারা।
আজ, রামপুরহাট কান্ডে যাঁরা আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তাঁদেরও বয়ান সংগ্রহের জন্য রামপুরহাট হাসপাতালে যায় সিবিআই-এর একটি দল৷ ঘটনায় হাসপাতালে ভর্তি এক নাবালক ও তিন মহিলা।
জানা গিয়েছে,এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ধৃত আনারুল হোসেন-সহ ১১ জনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। আগামী ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ধৃতদের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে রামপুরহাট মহকুমা আদালত।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে সিবিআই-কে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে হবে৷ কলকাতা হাইকোর্টের নজরদারিতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে চালাতে হবে তদন্ত।
অন্যদিকে, রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের ওই ভয়ানক ঘটনার পর মুখে খাবার উঠছে না নিহত পরিবারের জীবিত সদস্যদের। তাই তাদের খাবারের জন্য সাঁইথিয়ায় রান্নার ব্যবস্থা করল শাসকদল। রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে গত সোমবার যে ঘটনা ঘটে তারপর থেকেই নিহত পরিবারের জীবিত সদস্যরা আশ্রয় নেন সাঁইথিয়ার বাতাসপুর গ্রামে। প্রশাসনের সহযোগিতায় এদিন এই রান্না করা খাবার তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।