ভ্যাকসিন না পাওয়ার কারণে এবার কেন্দ্রীয় সরকার ও সেরাম ইনস্টিটিউটকে কাঠগড়ায় তুলল ব্রিটেন। দেশের জোগান মেটাতে গিয়ে বিদেশে সঠিক সময়ে টিকা না পৌঁছনোর জন্য ভারতের ‘ভ্যাকসিন জাতীয়তাবাদ’কে দায়ী করা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ভারতে আসার কথা। তার আগেই ভ্যাকসিন বিপত্তি সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি করল বলে মনে করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে ভ্যাকসিন সরবরাহের নিরিখে চিনকে অনেকটাই পেছনে ফেলে দিয়েছে ভারত। তাই একাধিক দেশ সেরাম ইনস্টিটিউট থেকেই অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে। সেরামও সেই মতো একের পর এক চুক্তি রীতিমতো লুফে নিয়েছে। ভারতেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ধাক্কা মারতেই নির্ধারিত সময়ে ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে সমস্যায় পড়ছে সেরাম।
ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক স্বীকার করতে বাধ্য হন, সেরাম সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন না দেওয়ার কারণে এবার ব্রিটেনে টিকার আকাল দেখা দিতে পারে। সূত্রের খবর, সেরামের সঙ্গে ব্রিটেনের ১ কোটি ডোজের চুক্তি হয়েছিল ব্রিটেনের। প্রথম কিস্তিতে ৫০ লক্ষ ভ্যাকসিন পৌঁছে গিয়েছিল। কথা ছিল, আরও ৫০ লক্ষ ডোজ শীঘ্রই পৌঁছে যাবে। তবে ডেলিভারির নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও বাকি ৫০ লক্ষ ডোজ না আসায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
সেরামের সিইও আদার পুনাওয়ালা অন্যান্য দেশগুলিকে ধৈর্য ধরার আবেদন জানান। একই সঙ্গে স্পষ্ট করে দেন, তাঁর সংস্থার কাছে ভারতের প্রয়োজনই অগ্রাধিকার পাবে। ব্রিটেনে ভ্যাকসিনের আকাল নিয়ে তাঁর সাফাই, যখন সেরামের দ্বারা সম্ভব হবে তখন ব্রিটেনকে সাহায্য করতে তাঁরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ভারতে ধাক্কা মারার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশে ভ্যাকসিনের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কারণে অন্যান্য দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন সহবরাহ করতে গিয়ে দেশের ভাঁড়ারে টান পড়তে শুরু করেছিল।