আন্তর্জাতিক

ব্রিটেনের সব সীমান্ত বন্ধ

করোনা ভীতিতে লকডাউন চলছে ব্রিটেনজুড়ে। তার মধ্যেই সোমবার থেকে বন্ধ হচ্ছে সে দেশের সব সীমান্ত। সুতরাং আমদানি–রপ্তানি বাণিজ্য জোর ধাক্কা খাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন করোনার ভ্যাকসিন বাজারে এলেও তাতে আশাতীত সাফল্য এখনও মেলেনি। উলটে নরওয়ে শহরে ২৯ জন টিকা নিয়ে মারা গিয়েছেন বলে খবর।
রাষ্ট্রপুঞ্জ করোনা সংক্রমণের প্রথম পর্ব থেকেই বলে আসছে, গোটা পৃথিবীকে একসঙ্গে সুস্থ হতে হবে। তা না হলে এই ভাইরাসকে পৃথিবীতে জায়গা করে দেওয়া হবে। বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের মানুষের কাছে প্রতিষেধক পৌঁছে যাওয়া জরুরি। ইতিমধ্যেই চিনে পৌঁছে গিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিদল। সেখান থেকে তাঁরা তথ্য নেবেন কিভাবে এই করোনাভাইরাসকে ঠেকানো যায়।
রাষ্ট্রপুঞ্জের আশঙ্কাই সত্য হয়ে উঠছে। একদিকে যেমন ভাইরাস মোকাবিলার জন্য প্রতিষেধক তৈরি হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনই ভাইরাস তার ভোল বদলে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। ঘটাচ্ছে নতুন সংক্রমণ। করোনার বিভিন্ন মিউটেশনে সন্ত্রস্ত বিশ্ববাসী। ইউরোপের অন্য দেশগুলিও সংক্রমণের বাড়াবাড়ির জন্য ব্রিটেনের দিকেই আঙুল তুলছে। এই পরিস্থিতিতে বরিস জনসন ঘোষণা করেছেন, সোমবার স্থানীয় সময় ভোর চারটে থেকে দেশের সব সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ব্রিটেনে পরিস্থিতি নতুন করে খারাপ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দেশবাসীকে নিরাপদে থাকতে অনুরোধ জানিয়েছেন। ঝুঁকি এড়াতে দেশে ঢোকার সমস্ত পথ আপাতত বন্ধ থাকবে। শুধু তাই নয়, দেশে ঢুকেও ১০ দিনের নিভৃতবাসে থাকতে হবে।