অতিমারী যখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ঠিক সেইসময় উদ্বেগ ছড়িয়েছে করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রন। এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, করোনার এই নতুন প্রজাতিকে রুখতে কতটা কার্যকর করোনার টিকা? এই নিয়ে চলছে চলছে নানা গবেষণা।
আগামী বছরের শুরুতেই ওমিক্রনের টিকা বাজারে আনবে, এমনটাই দাবি করেছে মর্ডানা। বিশেষজ্ঞদের মতে, অপেক্ষা না করে বুস্টার ডোজ নেওয়া জরুরি। এ বিষয়ে মেয়ো ক্লিনিক ভ্যাকসিন রিসার্চ গ্রুপ–এর ডিরেক্টর গ্রেগরি পোল্যান্ড জানিয়ে দিলেন, ওমিক্রন প্রতিরোধী টিকা যখন আসবে, তখন দেখা যাবে। তার আগে ‘বুস্টার ডোজ নেওয়াটা জরুরি’।
আমেরিকায় ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। সেদেশের সেন্টার ফর ডিসিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানিয়ে দিয়েছে, প্রাপ্তবয়স্কদের ফাইজার বা মডার্না টিকা নেওয়ার পর ছ’ মাস আর জনসনের টিকা নেওয়ার পর দু’ মাস কেটে গেলে বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ভ্যাকসিন অ্যাকসেস সেন্টারের ডিরেক্টর লোইস প্রিভর–ডামের মতে, বুস্টার ডোজ ওমিক্রন প্রজাতির সংক্রমণ সম্পূর্ণ ঠেকাতে না পারলেও হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে না।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোনিকা গান্ধী মনে করছেন, বুস্টারই যে ওমিক্রন সংক্রমণ কিছুটা হলেও ঠেকাবে, এখনই তা বলার সময় আসেনি। কারণ নতুন এই প্রজাতি সম্পর্কে সেভাবে কিছু জানাই যায়নি।
ওমিক্রন আক্রান্তের দেহে ক্লান্তিভাব অনেক বেশি থাকে। এছাড়াও গলা ব্যাথা, পেশীতে ব্যাথা, শুকনো কাশির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। গায়ে হালকা জ্বর থাকে। অবশ্য ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়াকে ভয়ের লক্ষণ বলে মানতে নারাজ গবেষকদের একাংশ।