পৌরসভা নির্বাচনে জয়ী ঘোষণার পর কাউন্সিলর প্রার্থীর উপর হামলা হল। তার জেরে নিহত হয়েছেন সিরাজগঞ্জের প্রার্থী তরিকুল ইসলাম খান। এই ঘটনার পর রবিবার সকাল থেকে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে এলাকায়। ভাঙচুর, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উত্তপ্ত সিরাজগঞ্জের ব্যাপারিপাড়া। পুলিশ ও দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
শনিবার বাংলাদেশের ৬০টি পৌরসভায় ছিল দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ পর্ব। বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যে দিয়েই তা মিটেছে। ভোটকেন্দ্রের অদূরে ককটেল বোমা, পেট্রল বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। প্রচারে গিয়ে নিহত হন আওয়ামি লিগের এক নেতা। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি অশান্তই ছিল। এরপর রাতে সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম খানকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে অপর পক্ষ। উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। অভিযোগ, এরপরই তরিকুলের উপর হামলা চালায় পরাজিতরা।
ব্যাপারিপাড়ায় হামলার খবর পেয়ে সিরাজগঞ্জ থেকে দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পৌঁছয় সদর থানার পুলিশও। সিরাজগঞ্জ দমকল বিভাগের স্টেশন অফিসার আতাউর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
