লিড নিউজ

রামমন্দির শিলান্যাসে সম্প্রচারের আয়োজন

ভূমিপুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। ৫ আগস্ট, বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অযোধ্যায় রামমন্দিরের শিলান্যাস করবেন। মন্দির নির্মাণের কাজে দেশের নানা প্রান্তের হিন্দু দেবস্থানের জল–মাটি ব্যবহার করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। বদ্রীনাথের মাটি এবং অলকানন্দা নদীর জল আনা হচ্ছে বলে খবর। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে সোমবারই তাঁদের প্রতিনিধি জল ও মাটি আনার জন্য অযোধ্যা থেকে বেরিয়ে পড়েছেন। ফলে সরকারের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়িত করতে কোনও সামাজিক দূরত্ব বা করোনা বিধি মানা হচ্ছে না।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর হাতে রামমন্দিরের শিলান্যাস পর্ব দূরদর্শনে দেখানো হবে। ওইদিন টিভির পর্দায় সরাসরি সম্প্রচার দেখতে বলে পাড়ায় পাড়ায় প্রচার চালাচ্ছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। শিল্যান্যাস অনুষ্ঠানে গোটা দেশের মানুষকেই অযোধ্যায় সামিল করার পরিকল্পনা ছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের। কিন্তু করোনার কারণে সেই পরিকল্পনা বাতিল করা হয়। কিন্তু এভাবে সরকারি সংবাদমাধ্যমকে কাজে লাগানো কতটা উচিত হচ্ছে তা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এদিকে রামজন্মভূমি ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বারণসীর পুরোহিতরা ভূমিপুজোর দায়িত্বে থাকবেন। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন অযোধ্যার পুরোহিতরাও। ভূমিপুজোর দিন গর্ভগৃহে পাঁচটি রুপোর ইট রাখা হবে। গর্ভগৃহ হবে আটকোনা। মন্দিরের উচ্চতা ১৪১ ফুট থেকে বাড়িয়ে ১৬১ ফুট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুরনো নকশায় নতুন করে দুটি মণ্ডপও যোগ করা হয়েছে। যে সব স্তম্ভ এবং পাথর খোদাই করা হয়েছিল সেগুলিও ব্যবহৃত হবে। পুরো মন্দিরটি তৈরি করতে সাড়ে তিন বছর সময় লাগবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভূমিপুজো করলেই নির্মাণের কাজ শুরু হবে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে পাঠানো হয়েছে, গঙ্গাসাগর, কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর, নবদ্বীপ, ত্রিবেণী সঙ্গম, কলকাতার ভূতনাথ মন্দিরের মাটি ও জল।