বড়সড় চক্রের সন্ধান পেয়ে অভিযান চালিয়ে সাফল্য বন দফতরের। বকখালি থেকে ৬৮ টি শার্কের বাচ্চা পাচারের চেষ্টার অভিযোগের ঘটনায় আটক ৪ জন। ধৃতদের সোমবার কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
বন দফতর সূত্রে জানা গেছে, ধৃত ব্যক্তিরা হলেন কার্তিক দেওয়ান, গৌতম দাস, ভরত মাইতি ও অমল ভুঁইয়া। ধৃতরা দীর্ঘদিন ধরে এই শার্ক পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে খবর। এলাকায় শার্ক পাচার হচ্ছে এমন খবর আগেই ছিল বন দফতরের কাছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বন দফতরের বকখালি রেঞ্জের কর্মীরা শার্ক পাচারকারীদের ধরার জন্য জাল পেতেছিল। শেষমেশ বনদফতরের কর্মীদের পাতা জালেই পা দেয় শার্ক পাচারকারীরা। বঙ্গোপসাগর থেকে ৬৮ টি শার্কের বাচ্চা ধরার পর তা বোতলবন্দি করে পাচারের সময় তা ধরা পড়ে যায়। জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া শার্কের বাচ্চাগুলি ২৮ সেমি লম্বা ও ৯ সেমি চওড়া।
সোমবার ধৃতদের গ্রেফতার করে কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বনদফতরের পক্ষ থেকে।
এ নিয়ে কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতের আইনজীবী সব্যসাচী দাস জানান, মঙ্গলবার বনদফতরের বকখালি রেঞ্জের কর্মীরা ৪ ব্যক্তিকে আটক করে কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পাঠায়। ধৃতদের বিরুদ্ধে ওয়াইল্ড লাইফ প্রটেকশান অ্যাক্টের সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।