কেরালার ওয়েনাড়ে ভূমিধসের ঘটনায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এই মুহূর্তে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের মুখে ‘ভগবানের আপন দেশ’ কেরল। কার্যত সম্পূর্ণ ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে ওয়েনাড়। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ৩৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় বহু মানুষ আহত। তাঁদের মধ্যে বেশ কিছুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। ভারি বৃষ্টিপাত ও ভয়ংকর পাহাড়ি এলাকা সত্ত্বেও ৪০টি যৌথ উদ্ধারকারী দল অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রশাসনের তরফে এই ৪০টি দলকে ভূমিধসকবলিত এলাকার ছয়টি জোনে অনুসন্ধান অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযানে রয়েছে সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ, ডিএসজি, কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও এমইজি, তিনজন স্থানীয় এবং একজন বন বিভাগের কর্মী রয়েছেন।
এলাকাগুলো হচ্ছে, আত্তামালা ও অরণমালা, মুন্ডক্কাই, পুঞ্চিরিমাত্তম, ভেল্লারিমালা গ্রাম, জিভিএইচএসএস ভেল্লারিমালা এবং নদীর তীরবর্তী এলাকা। এসব যৌথ দলে
কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, চালিয়ার নদীতে একটি ত্রিমুখী অনুসন্ধান অভিযান চালানো হবে। নদীর ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত আটটি থানা স্থানীয় সাঁতার বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সহযোগিতা করবে। তারা স্রোতে ভেসে যাওয়া বা নদীর তীরে আটকা পড়া মৃতদেহগুলো সন্ধান করবে। একই সঙ্গে পুলিশের হেলিকপ্টার ব্যবহার করে আরেকটি তল্লাশি অভিযান চালানো হবে।
এদিকে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এতটাই ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে যে, মুন্ডক্কাই, চুরামালা ও আত্তামালা গ্রামে কাউকে বাঁচানো যাবে না। উদ্ধারকর্মীরা এখন মৃতদেহ শনাক্ত ও উদ্ধারের দিকে মনোনিবেশ করছে।