চিকিৎসকদের ওয়ার্কশপের জন্য বেআইনি ভাবে মৃতদেহ পাঠানো হত আরজি করের মর্গ থেকে। আর জি করে মৃতদেহ দুর্নীতি মামলায় হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের হাত রয়েছে অভিযোগ সিবিআই আধিকারিকদের। এই হাসপাতালের মর্গ থেকে মৃতদেহ ও দেহের বিভিন্ন অংশ বাইরে পাচার করা হত, এমন বিস্ফোরক অভিযোগ আগেই উঠেছিল।
এবার সিবিআইয়ের অভিযোগ, মৃতদেহ পাচার কাণ্ড থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পেত প্রাক্তন অধ্যক্ষ। ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত দফতরের কর্তারা।আরজি কর হাসপাতালের মর্গ থেকে মৃতদেহগুলি বাড়ির লোকের অনুমতি ছাড়াই কোনও ওয়ার্কশপ বা গবেষণার কাজে পাঠানো হত।
সিবিআইয়ের সূত্র থেকে আসা খবর অনুযায়ী, সন্দীপ ঘোষের নির্দেশে তাঁর ঘনিষ্ঠ ফরেনসিক বিভাগের প্রধান দেহগুলি অন্যান্য বিভাগে পাঠাতেন। সাধারণত নিয়মানুযায়ী দেহ মর্গে আসার একদিনের মধ্যে তার ময়নাতদন্ত হয়, তবে আরজি করে তা হত না। ময়নাতদন্তের আগেই দেহ চলে যেত ওয়ার্কশপে। অনেক সময় এক সপ্তাহ পর তা মর্গে ফিরে এলে ময়নাতদন্ত হত। মৃতদের পরিবার দেহ চাইলে তাঁদের বিভিন্ন উপায়ে চুপ করিয়া রাখতেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ। ফলে সন্দীপ মানবাধিকার লঙ্ঘন করত বলেও অভিযোগ সিবিআইয়ের।