দেশ ব্রেকিং নিউজ

কমিশনকে করোনা চিঠি অধীরের

রাজ্যে চার দফা ভোট মিটেছে। এখনও চারটে দফা বাকি। এই পরিস্থিতিতে ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে করোনাভাইরাস। আর তাই আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি কোথায় যাবে সেটাই কার্যত ভেবে পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ বেশিরভাগ জায়গায় করোনাবিধি মেনে চলার কোনও লক্ষ্মণ দেখা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখলেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী।
এদিকে কলকাতাতে করা হবে মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানান, করোনা সংক্রমণ রুখতে এখনই লকডাউনের কোনও সিদ্ধান্ত নেই রাজ্যে। কিন্তু করোনাবিধি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে। যার আওতায় থাকবে মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন। একটি বাড়িতে পাঁচজনের বেশি আক্রান্ত হলে সেই বাড়িকে মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন করা হবে। প্রথম দফায় যে কন্টেইনমেন্ট জোন করা হয়েছিল তার চেয়ে ছোট এলাকায় করা হবে।
নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে বহরমপুরের সাংসদ অনুরোধ করেছেন, করোনা সংক্রমণ রুখতে এখনই সক্রিয় হওয়া উচিত কমিশনের। চিঠিতে অধীরবাবু লিখছেন, করোনার মতো সংক্রামক ব্যাধি আমাদের জন্য অভিশাপ। বিভিন্ন রাজ্য নতুন করে করোনা মোকাবিলায় পদক্ষেপ করেছে। কোথাও নাইট কার্ফু হয়েছে, কোথাও আংশিক লকডাউন হয়েছে। কিন্তু ভোটের আবহে বাংলায় তেমন কোনও পদক্ষেপ এখনও করা হয়নি।’‌
কিন্তু এই মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোনের নিয়ম কবে থেকে কার্যকর হবে তা জানা যায়নি। কন্টেইনমেন্ট জোনের দেখভালে থাকবে জেলা প্রশাসক, কলকাতা পুরসভা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির অনুরোধ, এখন থেকে ভোটের প্রচারে, জনসভায় বা রোড শোতে করোনা বিধি যাতে মানা হয়, সে ব্যাপারে নির্দেশিকা দিক নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে সার্বিকভাবে করোনা মোকাবিলা নিয়েও নির্বাচন কমিশনকে ভাবার পরামর্শ দিয়েছেন অধীর।
ভোটপ্রচারে করোনা বিধি মানা নিয়ে এর আগে উদ্বেগপ্রকাশ করেছে খোদ দিল্লি হাইকোর্টও। মাস্ক এবং শারীরিক দূরত্ব বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিয়ে দিনকয়েক আগে একযোগে কেন্দ্র এবং নির্বাচন কমিশনকে নোটিস দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। দিল্লির সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সিবিএসই বোর্ডের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বিগত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৫০০ জন, মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। এই পরিস্থিতিতে অফলাইনে পরীক্ষা নিলে সংকটে পড়তে পারে ছাত্রছাত্রীদের জীবন বলে মত কেজরিওয়ালের।