দুশো পার করে গড় বাঁচানোর লড়াইয়ে নেপথ্য নায়ক তিনি। মাঠে নেমে খেললেন তো বটেই বল এগিয়ে করালেন গোলও। তৃতীয়বার নজির গড়ে বাংলার মসনদে তৃণমূল। আর জয়ের কৃতিত্বের সিংহভাগই ব্র্যান্ড মমতার পাশাপাশি ‘ভাইপো’ অভিষেককেই দিচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। একুশের ভোটময়দানে প্রার্থী না হয়েও মোদী থেকে শাহ, রাজনাথ, স্মৃতির আক্রমণের নিশানায় ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের অন্দরের খবর, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলে অশনি সংকেত আঁচ করেই ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরকে বাংলায় নিয়ে আসার পরিকল্পনাও নাকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছিল। একের পর এক মাস্টারস্ট্রোকে বঙ্গে সবুজ ঝড়। সেই ঝড়ে মুখ থুবড়ে পড়ল মোদী-শাহের বিজয় রথ। বাংলায় তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরই সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভোট পর্বের শুরু থেকেই দলত্যাগী নেতার থেকে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা সবার আক্রমণের নিশানায় ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। কখনও তোলাবাজ ভাইপো হটাও তো কখনও ভাইপোর জন্যই সরকাল চালাচ্ছেন মমতা—আক্রমণ শোনা যায় বঙ্গের ভোট ময়দানে। তবু শত আক্রমণেও অবিচলিত নেপথ্যের নায়ক সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিধানসভায় প্রার্থী না হয়েও তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গোটা বাংলায় প্রচার চালিয়েছেন অভিষেক। বলতে গেলে রীতিমতো মাঠে নেমে খেলেছেন, গোল বাড়িয়েছেন, গোল করিয়েছেন দলকে দিয়ে। আগের দুই বিধানসভার ভোট যুদ্ধে, দলের দুঃসময়ে একমাত্র দাওয়াই ছিল ব্র্যান্ড মমতার ম্যাজিক। তাঁর ছায়াতলে থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আজ গেম চেঞ্জার।
