ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে পাকাপাকিভাবে বেরিয়ে এল ব্রিটেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য ব্রিটেন এখন খাতায়–কলমে ‘সিঙ্গল’। শুক্রবার মাঝরাতে বদলে গেল স্টেটাস। আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হল ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া। তিন বছর আগে ব্রিটেনের ৫২ শতাংশ মানুষ যে সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছিলেন, তাকেই বাস্তবায়িত করে ইইউ ছেড়ে বেরিয়ে এল ব্রিটেন।
জানা গিয়েছে, ১৯৭৩ সালে ‘ইউরোপীয় ইকনমিক কমিউনিটি’–তে যোগ দেয় ব্রিটেন। ১৯৯২ সালে ‘ইউরোপীয় ইকনমিক কমিউনিটি’ পরিবর্তিত হয়ে ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন’ হয়। এই ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন’ সমগ্র ইউরোপে মুক্ত বাণিজ্যের সুযোগ করে দেয় ইউরোপীয় দেশগুলিকে। চাঙ্গা হয় ইউরোপীয় অর্থনীতি। সূচনা হয় নতুন যুগের। ৪৭ বছর পর ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন’ ছেড়ে ব্রিটেন বেরিয়ে আসায় অবসান হল সেই ঐতিহাসিক অধ্যায়ের।
স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজিওন জানান, এবার পৃথক রাষ্ট্রের মর্যাদা পেতে স্কটল্যান্ড ব্রিটেনের উপর চাপ সৃষ্টি করবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বার্তা, ‘এটা শেষ নয়, শুরু।’ শনিবার ব্রেক্সিট পরবর্তী ব্রিটেনের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক সান্ডারল্যান্ডে করবেন তিনি। ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন সান্ডারল্যান্ডের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ। আনুষ্ঠানিক ব্রেক্সিটের উদ্যাপনে কোনও আড়ম্বরও করছেন না বরিস। সরকারি ভবনে লাল, সাদা, নীল আলোর কারিকুরি আর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের বাসভবনে নতুন কাউন্টডাউন ক্লক—ব্রিটেনের নয়া প্রহর গোনা শুরু।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টে পাশ হয় ব্রেক্সিট বিল। ৬৮৩ সদস্যের ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এই বিলের পক্ষে ৬২১টি ভোট পড়ে আর বিপক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ৪১টি। ৬৮৩ সদস্যের মধ্যে ২১ জন ভোটে অংশগ্রহন করেননি।