স্বাস্থ্য

করোনার জীবানু মরবে ৩ সেকেন্ডে

চীনে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আতঙ্ক বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে। করোনা প্রতিরোধে মাস্ক পরা, বেশি বেশি হাত ধোয়া, নাকে মুখে হাত না নেয়া এবং ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখাসহ নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। করোনা মোকাবেলায় সাবান ব্যবহারের কথা বলছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি কভিড-১৯ মোকাবেলায় বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে সাবান। এ জন্য বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ওপর তারা গুরুত্ব দিচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট দ্য সেন্টারস ফর ডিজিসেস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলেছে, করোনাভাইরাস এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে সংক্রমিত হওয়া থেকে বিরত রাখতে ঘন ঘন হাত ধোয়া ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী ও অধ্যাপক ক্যারেন ফ্লেমিং এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে টুইট করেছেন। কয়েকটি সিরিজ টুইটে তিনি দাবি করেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সাবান একটা ‘আশ্চর্যজনক অস্ত্র’। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সাবানের চেয়ে কার্যকরী আর কিছুই নেই।

আরেকটি টুইটে ক্যারেন এ দাবির পক্ষে যুক্তি দেন। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস এক ধরনের ‘সুপ্ত’ ভাইরাস। এর বাইরের অংশ ‘লিপিড মেমব্রেন লেয়ার’ দিয়ে তৈরি। অর্থাৎ এটা চর্বিযুক্ত লেয়ার দিয়ে আবৃত। আর বারবার সাবান ও জল দিয়ে হাত ধোয়া হলে এর চর্বিযুক্ত আবরণ উঠে যাবে, ফলে ভাইরাস নিশ্চিত মারা যাবে। কতক্ষণ ধরে হাত ধুতে হবে, এ বিজ্ঞানী সে কথাও জানিয়েছেন। টুইটবার্তায় তিনি বলেন, কতক্ষণ ধরে সাবান ঘষতে হবে সে সময়টা এতই কম যে ঘড়ি ধরে না বলাই শ্রেয়। ধরুন কাউকে দুই বার ‘হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ’ বলতে যে সময় লাগে অতটুকুন সময় নিয়ে হাতে সাবান ঘষবেন। এর পর তা ফেনাযুক্ত করে ধুয়ে ফেলবেন। প্রাণঘাতী করোনাকে মেরে ফেলতে এ সময়টুকুই যথেষ্ট। অর্থাৎ করোনার জীবাণু ৩ সেকেন্ডেই মরে শেষ! ক্যারেনের এই টুইট ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ক্যারেনের এসব টুইটে অনেক ভাইরোলজিস্টের সমর্থন রয়েছে। তবে তারা বলেছেন, হাতের কাছে সাবান না পেলে সেক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে হ্যান্ডওয়াশ। তবে যেখানে হাত ধোয়া হয়েছে অর্থাৎ ওয়াশরুমকেও ভালোভাবে ধুয়ে নেয়া উচিত।

এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বিশেষ এক সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন। তা হলো– ছোঁয়াচে এই রোগ যেন এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে সংক্রমিত না হতে পারে সেজন্য আলিঙ্গন ও কোলাকুলিকে এড়িয়ে চলতে হবে। এক্ষেত্রে ‘হাই-হ্যালো’ তেই পারস্পরিক সৌজন্যবোধটুকু সারতে বলা হয়েছে।