রবিরার দুপুরে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি’র প্রচার শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার রামলীলা ময়দানে প্রকাশ্যে জনসভা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর জানিয়ে দিলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে ঘিরে সাধারণ মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন বিরোধীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক ভিডিও তৈরি করে অশান্তি ছড়ানো হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি গরীবের জন্য কাজ করা মানুষ। যা করেছি সেখানে কোনও বৈষম্য দেখিনি। কার কী ধর্ম, কী জাত, কবে কোথা থেকে এসেছেন এসব কিছুই জানতে চাইনি।’
প্রধানমন্ত্রী রামলীলা ময়দান থেকে এদিন বলেন, শহরের কিছু পড়াশোনা করা মানুষ ও নকশালরা রটাচ্ছেন দেশের মুসলিমদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে। কিন্তু যে কোনও একজনকে প্রশ্ন করুন কোথায় রয়েছে ডিটেনশন সেন্টার? বলবে, সবাই বলছে তাই শুনছি। এসব কংগ্রেস ও আরবান নকশালদের প্রচার। এইসব প্রচারে বিশ্বাস করে রাস্তায় নেমে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে কিছু লোক। বিবিধের একতা, ভারতের বিশেষত্ব।
বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, ‘আপনারা মোদীকে গালি দিন। মোদীকে ঘৃণা করুন। যত খুশি জুতো মারুন। কিন্তু দেশের সম্পত্তি, গরীবের অটো, দুঃস্থদের ঘর জ্বালাবেন না। মিথ্যা প্রচার চলছে, কারও অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে না। গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমার কাজের বিশ্লেষণ করুন। কোথাও কোনও বৈষম্য হলে আমি জবাব দেব।’ দেশের কোনও মানুষের জন্যই এই আইন নয়। তা সে হিন্দুই হোক বা মুসলমান। একথা সংসদে বলা হয়েছে। দেশের ১৩০ কোটি মানুষের জন্য নয়। দ্বিতীয়ত এনআরসি। কংগ্রেসের আমলে তৈরি হয়েছিল। আমরা তো বানাইনি। তাহলে আমাদের দোষ দেওয়া হচ্ছে কেন? বাচ্চাদের মতো করে বোঝানো হচ্ছে। আগে দেখুন এনআরসি নিয়ে কিছু হয়েছে কি? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এনআরসি হচ্ছে। আমরা একটা কথাও বলিনি জানালেন প্রধানমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আলাদা করে আক্রমণ করেন মোদী। তিনি বলেন, ‘সংসদে একসময় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানোর আর শরণার্থীদের জায়গা দিতে বলতেন। আজ পৌঁছে গেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জে! দিদি, এখন কী হয়েছে আপনার? কেন বদলে গিয়েছেন? নির্বাচন আসে–যায়, বাংলার মানুষকে ভরসা করুন। বাংলার বাসিন্দাদের আপনি শত্রু ভেবে ফেলেছেন। সেনা নিয়মমাফিক কাজ করতে গেলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবাদ করেন।’