রাজ্য

‘‌বাংলার শিল্প বৃদ্ধির হার ৫ গুণ’‌

কেন্দ্রীয় বাজেট হতাশ করলেও রাজ্য বাজেট উন্নয়নের জোয়ারে ব্যাপক বরাদ্দ করে তা পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করল। সোমবার বিধানসভায় ২০২০–২০২১ অর্থবর্ষের রাজ্য বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। গত আর্থিক বছরে রাজ্যে ৯ লাখ ১১০০০ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। পাশাপাশি বিনামূল্যে মিলবে সামাজিক সুরক্ষা। আগে পিএফের জন্য শ্রমিকদের দিতে হত ২৫ টাকা। রাজ্য দিত ৩০ টাকা। এখন থেকে পুরোটাই রাজ্য সরকার দেবে। দেড় কোটি পরিবার সুবিধা পাবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
অনগ্রসর জাতির জন্য বরাদ্দ ৮০৫.১০ কোটি টাকা, উপজাতি উন্নয়নে বরাদ্দ ৯৩৫ কোটি টাকা, সংখ্যালঘুদের জন্য ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব, বন্ধু প্রকল্পে তফশিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত বয়স্কদের জন্য মাসে ১০০০ টাকা করে বার্ধ্যকভাতা, হাসির আলো প্রকল্প–গরীব মানুষদের জন্য বিদ্যুৎ প্রকল্প। বরাদ্দ ২০০ কোটি টাকা, চা সুন্দরী প্রকল্প– চা শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দ ৫০০ কোটি টাকা, চা–বাগানের গৃহহীন শ্রমিকদের আবাসন দেওয়ার লক্ষ্যে এই প্রকল্প, কর্মসাথী’ প্রকল্প– আগামী এক বছর বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ঋণদানের ব্যবস্থা। ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন অর্থমন্ত্রী।
আবার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ৪৯টি ক্লাস্টার বেড়ে হয়েছে ৫৪৫। আগামী তিন বছরে আরও ১০০টি ক্লাস্টার গড়ে তোলা হবে। আগামী অর্থবর্ষে বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা, ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য বাংলাশ্রী প্রকল্পের প্রস্তাব। ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল থেকে যে সংস্থা কাজ শুরু করেছে তারাও এর সুবিধা পাবে। আগামী অর্থবর্ষে বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা, বকেয়া মামলার নিষ্পত্তির জন্য একাধিক ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের প্রস্তাব। ৯০ দিনের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি হবে বলে বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন অর্থমন্ত্রী।
এছাড়া বিরসা মুন্ডা বিশ্ববিদ্যালয়, আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয় সহ রাজ্যে আরও নতুন ৩টি বিশ্ববিদ্যালয় হবে, তফশিলি উপজাতিদের জন্য নয়া জয় জহর প্রকল্প বরাদ্দ ৫০০ কোটি টাকা, তফশিলি জাতি জন্য নতুন বন্ধু প্রকল্প, বরাদ্দ ২৫০০ কোটি টাকা, ২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা ছোট ও মাঝারি শিল্পে বিনিয়োগ, বড় শিল্পে ৪.৪৫ লাখ টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব ইতিমধ্যেই বাস্তবায়িত হয়েছে, ২২,২৬৭ কোটি বিদেশি বিনিয়োগ রাজ্যে, ১০০ দিনের কাজ, ক্ষুদ্র শিল্প, গ্রামীণ গৃহ নির্মাণ, গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণ, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, ইজ অফ গোয়িং বিজনেস, ই–টেন্ডারিংয়ে বাংলা প্রথম বলে জানান রাজ্যের অর্থমন্ত্রী।
বাজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, পারিবারিক জমি একত্রিত করার ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটি ৪.৫% থেকে কমিয়ে ০.৫% করার প্রস্তাব, কৃষি আয়কর সম্পূর্ণ ছাড়ের প্রস্তাব করা হচ্ছে, ৩১ মার্চ ২০২০ সালের মধ্যে মোটর ভেহিকেল আইনে সমস্ত জরিমানা জমা দিলে ৫০ শতাংশ মুকুব করার প্রস্তাব, সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের জন্য, বাংলায় বেকারির হার ৪০% কমেছে, ভারতে শিল্পে বৃদ্ধির হার ২০১৯–২০ সালে বাংলায় শিল্পোৎপাদনে বৃদ্ধির হার ৩.৮ শতাংশ, গোটা দেশের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি, রাজ্যের জিডিপির হার ১০.৪%।