এবার সরাসরি উপত্যকার মানুষকে অপমান করলেন নীতি আয়োগের সদস্য। শুধুমাত্র ‘নোংরা ফিল্ম’ দেখার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয় কাশ্মীরে। উপত্যকায় নেট পরিষেবা বন্ধ রাখার বিষয়ে যুক্তি দিতে গিয়ে এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে সারস্বত। এমনকী তাঁর দাবি, জম্মু ও কাশ্মীরে ইন্টারনেট বন্ধ রাখায় কোনও প্রভাব পড়েনি উপত্যকার অর্থনীতিতে।
দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৫ মাস পর জম্মু–কাশ্মীরে আংশিকভাবে চালু হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা৷ ইন্টারনেট বন্ধ থাকার জেরে কাশ্মীরের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কতটা প্রভাব পড়েছে নীতি আয়োগের সদস্যের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, নোংরা সিনেমা দেখার জন্যই কাশ্মীরে ইন্টারনেট ব্যবহৃত হত৷ ভূস্বর্গে অর্থনীতির উপর প্রভাব পড়েনি৷ তাঁর কথায়, ‘ওখানে ইন্টারনেট না থাকলে কী এমন পার্থক্য হবে। ইন্টারনেটে ওখানে কী দেখা হয়? ওখানে কি ই–টেলিং (ইন্টারনেটের মাধ্যমে জিনিসপত্র বেচা) হচ্ছে! নোংরা ফিল্ম দেখা ছাড়া ওখানে আর কিছু করা হয় কী?’
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে সারস্বত বলেন, ‘রাজনীতিবিদরা কাশ্মীরে যেতে চাইছেন কেন? কারণ দিল্লির রাস্তায় যেমন আন্দোলন চলছে, ওরকম কাশ্মীরেও করতে চাইছেন৷ সোশ্যাল মিডিয়াকে আগুন হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন৷ কাশ্মীরে ইন্টারনেট না থাকায় কী এসে যায়? কাশ্মীরের মানুষেরা ইন্টারনেটে কী দেখে? নোংরা সিনেমা দেখা ছাড়া কিছু করে না ওরা৷’ বারবার এই কথা বলায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
বিষয়টি যে বেফাঁস মন্তব্য তা বুঝতে পেরেই নিজেকে সামলে নিয়ে তাঁর সাফাই, ‘আমি বলতে চাইছি, কাশ্মীরে ইন্টারনেট না থাকলেও কোনও সমস্যা নেই৷ তার প্রভাব উপত্যকার অর্থনীতির উপর প্রভাব ফেলেনি৷ কাশ্মীরে ইন্টারনেট বন্ধ। কিন্তু, গুজরাটে কি বন্ধ রয়েছে? আসলে কাশ্মীরে ইন্টারনেট বন্ধ রাখার কারণটা অন্য। যদি ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করে উপত্যকার অগ্রগতি করতে হয় তবে আমরা জানি ওখানে এমন কিছু পক্ষ রয়েছে যাঁরা এই পরিষেবার অপব্যবহার করে সেখানকার আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে।’