ব্রেকিং নিউজ

সুদীপ্তের বয়ানই হাতিয়ার সিবিআইয়ের

শনিবার আগাম জামিনের আবেদন করেছেন আলিপুর জেলা বিচারকের এজলাসে। রাজীব কুমারের স্ত্রী সঞ্চিতা কুমার এই আবেদন করেন বলে খবর। সুদীপ্তের দেওয়া তথ্যেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা এখন আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছেন ময়দানে। তাঁর দেওয়া তথ্য ছিল, সাংসদ, বিধায়ক এবং টাকা খেয়েছেন পুলিশের নিচুতলা থেকে শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকেরাও।
যদিও রাজীবের আইনজীবী দেবাশীষ রায় ব্যাখ্যা করেন ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কীভাবে সারদা মামলা এগিয়েছে। তাঁর সওয়াল, সিবিআইয়ের চার্জশিট এবং ৬টি অতিরিক্ত চার্জশিটে কোথাও রাজীব কুমারকে অপরাধী বলে উল্লেখ করা হয়নি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, গত কয়েক বছর ধরে চলা সারদা তদন্তের ইতি টানতে চাইছেন তাঁরা। আগামী নভেম্বর মাসে চূড়ান্ত চার্জশিট দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। চার্জশিটে নতুন করে কয়েকজন বিধায়ক এবং সাংসদের নাম ঢুকতে পারে।
রাজীবের আইনজীবী সওয়াল করে জানান, দেবযানীর মোবাইল, ল্যাপটপে প্রচুর তথ্য ছিল। সেটা কেন ফেরত দেওয়া হল?‌ তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন করা হচ্ছে কিন্তু সুদীপ্ত সেনের এখনও ৩টি ফোন পড়ে রয়েছে সেটা দেখা হচ্ছে না। বিচারক প্রশ্ন করেন, কটা নোটিস পাঠানো হয়েছে? রাজীবের আইনজীবীর দাবি, ২০১৭ সালে দুটো, তারপর ৫টা। কিন্তু এখন তো রোজই নোটিস দিচ্ছে। তখন বিচারক বলেন, এমন সময় নোটিস পাঠানো হচ্ছে, তাতে আসতে পারছেন না, এটাই আসল কথা তো?‌
সারদা কাণ্ড সামনে আসার পর রাজ্য সরকার বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন (সিট) করে। ওই দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বিধাননগরের তৎকালীন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের। সিবিআই সূত্রে খবর, ওই দলে থাকা অন্য পুলিশ অফিসারদের জেরা করে তারা জানতে পেরেছে, বিভিন্ন বিষয়ে সিটকে নির্দেশ দিতেন রাজীব। যদিও তা অস্বীকার করেছেন বর্তমানে রাজ্যের গোয়েন্দাপ্রধান রাজীব কুমার। শনিবার রাজীব কুমারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়, লাল ডায়েরি সম্পর্কে শুধু মিডিয়াতেই শুনেছেন। দেবযানীর কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। সুদীপ্ত সেনের কাছে যে ডায়েরি মিলেছে, সেটা জমা দেওয়া হয়েছে।