রাজ্য

সমঝোতাপূর্ণ লড়াইয়ে বাম–কংগ্রেসের সিলমোহর

আর ভুল করে নিজেদের খাবার অন্যের মুখে তুলে দেওয়া হবে না। তাই রাজ্যের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সমঝোতাপূর্ণ লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিল আলিমুদ্দিন। বামেদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, খড়্গপুর সদর এবং কালিয়াগঞ্জ আসন ছাড়া হবে কংগ্রেসকে। বামেরা প্রার্থী দেবে করিমপুরে। এবার কংগ্রেসের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। যৌথভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পাশাপাশি আন্দোলনের যৌথ মঞ্চ গড়ার প্রস্তাব নিয়েও সেই বৈঠকে কথা হবে।
আসন বন্টন নিয়ে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন সূর্যকান্ত মিশ্র, সোমেন মিত্র এবং বিমান বসু। সব ভোটেই হাত–হাতুড়ি–কাস্তে জোট করে লড়াইয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জের আসন নিয়ে দু’‌পক্ষের মধ্যে যে বিবাদ হয়েছিল তার পুনরাবৃত্তি চায় না কোনও পক্ষই। আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, আগামী ৩১ অক্টোবর বামফ্রন্টের বৈঠকে চূড়ান্ত হবে প্রার্থীর নাম। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই কংগ্রেসের সঙ্গে বৈঠকের চেষ্টা হবে। তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
দু’পক্ষ নিজেদের প্রার্থীদের নাম ঠিক করে পরস্পরের সঙ্গে কথা বলে নেবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান কালিয়াগঞ্জ এবং করিমপুরে বাম–কংগ্রেস সমঝোতার পাশাপাশি খড়গপুর আসনে তৃণমূলকে সমর্থনের প্রস্তাব দিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়েছিলেন। গোটা রাজ্যের কংগ্রেসে তাঁর সেই প্রস্তাব অবশ্য কল্কে পায়নি। বামফ্রন্ট বৈঠকে আরএসপি মান্নানের ওই চিঠির প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেসের মনোভাব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিল। তবে সূত্রের খবর, বাকি নেতারা মান্নানের চিঠিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাননি।
উল্লেখ্য, আগামী ২৫ নভেম্বর কালিয়াগঞ্জ, খড়্গপুর সদর এবং করিমপুরে বিধানসভার নির্বাচন। ফলপ্রকাশ ২৮ নভেম্বর। পার্টি কংগ্রেস ও প্লেনামের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁরা কোনও রাজনৈতিক আঁতাত করতে পারবেন না। কিন্তু সীতারাম ইয়েচুরি ইঙ্গিত দিয়ে যান যে, এই খসড়াতে কিছু সংশোধন আনা হবে। বিধান ভবনে প্রদেশ কংগ্রেসের নির্বাচন কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে বৃহস্পতিবার। সেখানেই কালিয়াগঞ্জ ও খড়গপুরের দুই প্রার্থীর নাম ঠিক হবে।