কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের পর থেকে বিশ্বের বেশিরভাগ হাসপাতাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশিত ট্রায়াজ (কোভিড সন্দেহভাজন রোগী বাছাই প্রক্রিয়া) ব্যবস্থাপনা মেনে সন্দেহভাজন রোগীদের ভর্তি করছে। এই ব্যবস্থাপনা যেসব হাসপাতালে সুচারুভাবে মেনে চলা হচ্ছে সেগুলোতে রোগী থেকে রোগীতে এবং রোগী থেকে চিকিৎসক ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট কর্মীদের মধ্যে করোনা ছড়ানোর হার একেবারেই কম। বিশ্বের সব উন্নত দেশ এমনকি ভারতেও এই প্রক্রিয়ায় রোগী বাছাই হচ্ছে। ভারতের কেরালা ও কর্নাটকে এই ট্রায়াজ ব্যবস্থাপনা থাকায় সেখানে কোভিড রোগীদের শনাক্ত ও চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে সুফল পাওয়া গেছে।
ট্রায়াজ ব্যবস্থাপনা হচ্ছে কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশিত একটি বিশ্বজনীন রীতি (ইউনির্ভাসেল প্রটোকল)। ট্রায়াজ শব্দের অর্থ আলাদা করা বা বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা। করোনার ক্ষেত্রে কোনো রোগীকে লক্ষণ অনুযায়ী ভাগ করে চিকিৎসা দেওয়া হলে তাদের থেকে সংক্রমণের সংখ্যা অনেকাংশেই কমে যায়। জ্বর, সর্দি কাশি, শ্বাসকষ্ট এসব উপসর্গ নিয়ে কেউ এলে তাদের কোথায় যেতে হবে সে সম্পর্কে নির্দেশনা দেওয়া থাকে এতে। এমনকি এ ধরনের রোগীর টিকিট কাউন্টারেও যেতে মানা। সোজা কথায়, অন্য সব রোগীর সংস্পর্শে যাতে কোভিড আক্রান্ত রোগীকে যেতে না হয় তার সব ব্যবস্থাই থাকে ট্রায়াজে।
বিশেষজ্ঞদের মত, কেরালা, কর্ণাটকসহ বেশ কিছু প্রদেশে ট্রায়াজ সিস্টেম করে তারা ভীষণ সুফল পেয়েছে। তারা ট্রায়াজটাকে খুব ‘মেটিকুলাসলি’ করেছে এবং তার সুফলও পেয়েছে দারুণ। আর দক্ষিণ কোরিয়ার সাফল্যের কথা পুরো বিশ্ব জানে। যে যত ভালোভাবে এই ট্রায়াজ সিস্টেম মেনে চলেছে সেই দেশ তত ভালো ফল পেয়েছে। কারণ, এতে করে শুরুতেই রোগীরা পৃথক হয়ে যায় অন্যদের থেকে।