নির্মাতা ও অভিনেতা অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে রূপাঞ্জনা মিত্র যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন। তার প্রথম স্ত্রী তনুরুচি শীল এবার সেই আগুনে ঘি ঢাললেন।
টিভি সিরিজ় ‘ভূমিকন্যা’ করার সময়ে স্ক্রিপ্ট পড়ার অছিলায় অরিন্দম তার গায়ে হাত দেন বলে অভিযোগ করেন রূপাঞ্জনা। ‘‘ফাঁকা অফিসে আমাকে ডাকেন। তার পরেই ওই অসভ্যতামি। সে সময়ে ওর স্ত্রী শুক্লা (শীল) এসে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ওর ভোল বদলে যায়,’’ বক্তব্য রূপাঞ্জনার। কিন্তু এতোদিন তিনি অভিযোগ করেননি কেন? ‘‘আমি চ্যানেলের সঙ্গে চুক্তিতে ছিলাম। ওই সময়ে অভিযোগ করলে ‘ভূমিকন্যা’ বন্ধ হয়ে যেতে পারতো। তাতে অনেকের রুজি-রোজগার আটকে যেত। এছাড়া এতো বড় একটা স্টেপ নেয়ার আগে আমাদের সমাজে একজন মেয়েকে অনেক ভাবতে হয়,’’ জানান অভিনেত্রী। আইনি পদক্ষেপের কথাও তার ভাবনায় রয়েছে বলে রূপাঞ্জনা জানান।
এদিকে এই অভিযোগ অস্বীকার করে অরিন্দম বলেন, ‘‘ওই দিন অফিসে অন্যান্য স্টাফও ছিল। শুক্লা আসার পরে রূপাঞ্জনা অনেকক্ষণ ওর সঙ্গে গল্প করে। অস্বস্তি থাকলে কি সেটা পারতো? আমি যদি এতোই খারাপ হই, তা হলে আমার সঙ্গে কাজ করতে চেয়ে মেসেজ করতো না নিশ্চয়ই। মিথ্যে বলার একটা মাত্রা রয়েছে।’’ এই বিতর্কে রূপাঞ্জনার পাশে দাঁড়িয়েছেন তনুরুচি শীল, যিনি অরিন্দমের প্রথম স্ত্রী। যদিও তনুরুচির বক্তব্য, তার সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদ হয়নি পরিচালকের। একসঙ্গে অভিনয়ের সূত্রে তনুরুচি আর অরিন্দমের আলাপ ও প্রেম। ১৯৯২ সালে তাদের সামাজিক বিয়ে হয়, ১৯৯৩ সালে রেজিস্ট্রি। কিন্তু ২০০৩ সালে অরিন্দম ডিভোর্সের মামলা দায়ের করেন। সেই মামলা গেল বছর খারিজ হয়ে গেছে বলে তনুরুচি জানালেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় রূপাঞ্জনার সমর্থনে পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘‘আমি অরিন্দম শীলের স্ত্রী। কিন্তু উনি আমার সঙ্গে তঞ্চকতা করেছেন। উনি থাকেন শুক্লা দাসের সঙ্গে।’’ ব্যক্তিগত বিষয় সবার সামনে আনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সবাই যাতে অরিন্দমের আসল ছবিটা দেখতে পায়, সেই কারণেই রূপাঞ্জনার পাশে দাঁড়িয়েছি।’’
একটি বেসরকারি সংস্থায় তনুরুচি ও শুক্লা একই সময়ে চাকরি করতেন। সেই সূত্রেই অরিন্দম-শুক্লার ঘনিষ্ঠতা হয় বলে তার দাবি।