জেলা রাজ্য

রাজ্যজুড়ে কোন পথে লকডাউন, জানুন

লকডাউনের আক্ষরিক অর্থ হল—জরুরি পরিস্থিতিতে মানুষকের গতিবিধি বন্ধ করে দেওয়া। কলকাতা–সহ একাধিক শহরে যে লকডাউন জারি হচ্ছে তা সতর্কতামূলক লকডাউন। অর্থাৎ জনগণের স্বার্থেই প্রশাসন চাইছে যাতে অপ্রয়োজনে কেউ ঘরের বাইরে পা না রাখেন। লকডাউনের আওতায় পড়বে না কোনও জরুরি পরিষেবা। খাবার–ওষুধ, জ্বালানি মিলবে অন্য সময়ের মতোই। হাসপাতাল, অ্যাম্বুল্যান্স, জরুরী পুর–পরিষেবাও লকডাউনের আওতায় আসবে না।
বন্ধ থাকবে সব পাবলিক ট্রান্সপোর্ট। জরুরী পরিষেবা ছাড়া সব অফিস, দোকানপাট বন্ধ থাকবে। রবিবার এই নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। যাঁরা এই নির্দেশিকা মানবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। ট্যাক্সি, অটোরিকশা–সহ সব পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বন্ধ থাকবে। হাসপাতাল, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড থেকে যাওয়া–আসা, মালবাহী যান এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রের পরামর্শে সম্মতি জানিয়ে রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ২৭ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই পরিস্থিতি। সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এটাই জানানো হয়েছে। আগামীকাল বিকেল থেকে রাজ্যে কোনও গণপরিবহণ চলবে না। বন্ধ থাকবে সব দোকান, অফিস, কলকারখানা, গোডাউন।
ছাড় দেওয়া হচ্ছে—আইনশৃঙ্খলা, আদালত ও সংশোধনাগারের পরিষেবা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী, আধা সামরিক বাহিনী, বিদ্যুত্‍‌ পরিষেবা ও জল, দমকল, সিভিল ডিফেন্স, টেলিকম, ইন্টারনেট, আইটি ও ডাক বিভাগ
ব্যাংক ও এটিএম, রেশন, মুদি দোকান, সবজি, ফল, মাছ, মাংস, দুধ, পাউরুটি বিক্রি, হিমঘর, মুদির ই–কমার্স, খাবার জিনিস, হোম ডেলিভারি, পেট্রোল পাম্প, এলপিজি গ্যাস, তেলের এজেন্সি, ওষুধের দোকান, চশমার দোকান, সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়া।