রাজ্য

রণক্ষেত্র সুজাপুরে গুলি, আগুন, ইট

বাম ও বিরোধীদের বনধ ঘিরে তোলপাড় মালদহের কালিয়াচক। জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বনধ সমর্থকরা। অবরোধ তুলতে গেলে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় জাতীয় সড়ক। অর্থনীতিতে মন্দা, কর্মসংস্থানের বেহাল দশা, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বন্ধের প্রতিবাদ এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি এবং জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জির বিরোধিতায় বুধবার দেশ জুড়ে ২৪ ঘণ্টার সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি। আটকে দেওয়া হয় বাস। দোকানপাট জোর করে বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়। পুলিশ বন্‌ধ শান্তিপূর্ণভাবে করার আবেদন জানায়। তখন পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে ধর্মঘট সমর্থকারীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ও বোমা ছুঁড়তে থাকে বলে অভিযোগ। এমনকী পুলিশের গাড়িতে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
পতাকা ফেস্টুন নিয়ে তাঁরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। কংগ্রেসের দুর্গ হওয়ায় অবরোধকারীদের মধ্য কংগ্রেসের সমর্থকরাই ছিলেন বেশি। ভিড় বাড়তে দেখে জনতাকে সরানোর চেষ্টা করে পুলিশ। পাথর ছুঁড়তে থাকে বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি আয়ত্বের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। শূন্য গুলিও চালানো হয়। এতেই জনতার রোষ আছড়ে পড়ে। পুলিশকে পাথর নিয়ে তাড়া করে মানুষজন। পুলিশকে লক্ষ করে ইট ছুঁড়তে থাকে বিক্ষোভকারীরা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিসের ২টি গাড়ি। সব মিলিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সুজাপুর।
পুলিশ পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ও রবার বুলেট ছোঁড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জেলার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া–সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। সেখান ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে সরকারি বাসের কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। আটকে দেওয়া হয় দুরপাল্লার বাস। যাত্রী নামিয়ে বাস ভাঙচুর করা হয়ও বলে অভিযোগ উঠেছে। শহরের ভেতরে ভাঙা হয় বেশ কিছু অটোও।