বাংলাদেশ

যুবলীগ নেতা সম্রাট কারাগারে

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাটকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার রাত সোয়া আটটার দিকে তাঁকে কারাগার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রবিবার ভোরের দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তাঁর সহযোগী এনামুল হক আরমানকে আটক করে র‍্যাব। পরে তাঁদের ঢাকায় এনে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে সম্রাটের কাকরাইলের কার্যালয়ে ক্যাঙারুর দুটি চামড়া পাওয়া যায়। এ ঘটনায় র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন। 

জানা যায়, যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মতো একটি বড় ইউনিটের সভাপতি হওয়ার সুবাদে তার ছিল বিশাল বাহিনী। কাকরাইলের অফিসে অবস্থান করলেও কয়েকশ’ নেতাকর্মী সব সময় তার আশপাশে অবস্থান করতেন। কার্যালয় থেকে বেরিয়ে কোথাও গেলে তাকে প্রটোকল দিত শতাধিক নেতাকর্মী। ক্যাসিনো ও চাঁদাবাজির টাকা দিয়ে বিশাল সাম্রাজ্য চালাতেন তিনি। সম্প্রতি বাংলাদেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের পর সম্রাটের পরিবারের সবাই গা ঢাকা দেন। রোববার সম্রাটের দ্বিতীয় স্ত্রীও সাংবাদিকদের বলেছেন, সম্রাটের নেশা ছিল জুয়া খেলা। তিনি একজন পেশাদার জুয়াড়ি। মাসে একাধিকবার সিঙ্গাপুরে তিনি জুয়া খেলতে যেতেন। সেখানকার সবচেয়ে বড় জুয়ার আস্তানা মেরিনা বে স্যান্ডস ক্যাসিনোতে পশ্চিমের দেশগুলো থেকেও আসে জুয়াড়িরা। সেখানেও সম্রাট ভিআইপি জুয়াড়ি হিসেবে পরিচিত।