করোনা আতঙ্কের আবহে মাস্কের কালোবাজারি বরদাস্ত করবে না রাজ্য বলে স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এন–৯৫ মাস্ক বাজারে কার্যত অমিল। যেটুকু মিলছে, তাও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। সরকারি হাসপাতালেও মাস্কের বিপুল চাহিদা অনুযায়ী জোগান নেই। এই পরিস্থিতিতে নবান্নে করোনা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকেও মাস্কের বেআইনি মজুত নিয়ে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, মাস্ক নিয়ে বেআইনি মজুত বরদাস্ত করবে না রাজ্য সরকার। যারা সেটা করবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এরপরই মেডিকেল কলেজ চত্বরে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। আতঙ্ক সামাল দিতে হেল্পলাইন খুলল নবান্ন। জেলায় জেলায় তৈরি কুইক রেসপন্স টিমও। পুলিশ–এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চকে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য কেন্দ্রকে চিঠি লেখার কথাও জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কড়া অবস্থান জানিয়ে দেওয়ার পরই বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করেন ড্রাগ কন্ট্রোলের কর্তারা। তাদের পক্ষ থেকে রাজ্যের খুচরো ও পাইকারি ওষুধ বিক্রেতাদের সর্ববৃহৎ এই সংগঠনকে জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনওভাবেই যাতে ছাপা দামের থেকে বেশি দামে মাস্ক বিক্রি না হয় তা নিশ্চিত করতে। না হলে ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওষুধের দোকানগুলিতে হানা দেয় কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। বিভিন্ন দোকান থেকে ক্যাশমেমো, রেজিস্ট্রার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে কিছু মাস্কও। দোকানদারদের নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, সামনে বোর্ড টাঙিয়ে লিখে রাখতে হবে, কোথা থেকে মাস্ক কিনছেন, কত দামে বিক্রি করছেন, কত বিক্রি হচ্ছে ইত্যাদি। একটু ভালো মানের মাস্কেরও (এন-৯৫ নয়) দাম গড়ে ২০০–২৮০ টাকা। ২৮০–২৯০ টাকায় পাইকারি রেট পড়ছে এন–৯৫ মাস্কের দাম।