লিড নিউজ

মহারাষ্ট্রে গেরুয়া রথ স্তিমিত হরিয়ানায়

কংগ্রেস–এনসিপি জোটকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেল বিজেপি–শিবসেনা জোট। ফলে মহারাষ্ট্রে ফের সরকার গঠনের পথে বিজেপি–শিবসেনা জোট। হরিয়ানা বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পৌঁছতে পারল না গেরুয়া শিবির। মহারাষ্ট্রে গতবারের চেয়ে আসন কমলেও ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে তারা। এখন শিবসেনার দর–কষাকষি সহ্য করতে হবে বিজেপিকে।
এদিকে ত্রিশঙ্কু ফল হওয়ার দিকে এগোচ্ছে হরিয়ানা। এখানে আশার আলো নেই বিজেপির জন্য। পিছিয়ে রয়েছেন খট্টর মন্ত্রিসভার ৭ সদস্য। জোর টক্কর দিয়েছে কংগ্রেস। তবে ফল ত্রিশঙ্কু হলে সরকার গড়ার চাবিকাঠি হয়ে উঠতে পারে জননায়ক জনতা পার্টি (‌জেজেপি)‌। তারা বেশ কয়েকটি আসনে এগিয়ে থাকায় শুরু করেছে জয়োল্লাস। জেজেপি’‌র নেতা দুশ্যন্ত চৌতালা জানান, যে দল তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার দিতে রাজি হবেন, তাদের সঙ্গেই জোট বাঁধতে তিনি রাজি আছেন।
অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে ২৮৮টি আসনে বিজেপি–শিবসেনা জোটের ঝুলিতে এখনও পর্যন্ত গিয়েছে ১৬৩টি আসন। বিজেপি’‌র ৯৮টি। শরিক দল শিবসেনার ৬০টি আসন, ৪৪টি আসন কংগ্রেসের। এনসিপি এগিয়ে ৫৬ আসনে। সবগুলি আসনেই এভাবে এগিয়ে রয়েছে। জোট সরকারের ক্ষমতায় আসতে কোনও বাধা নেই। হরিয়ানায় ১২টি আসনে এগিয়ে আছে জেজেপি। ৯০ আসনের হরিয়ানা বিধানসভায় বিজেপি এগিয়ে ৪১টি আসনে। কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ২৮টি আসনে। তবে ম্যাজিক ফিগার ৪৬। স্বাভাবিকভাবেই ফল ত্রিশঙ্কু হওয়ার দিকেই এগোচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। সেরকম কিছু হলে কিংমেকার হয়ে উঠবে জেজেপি। তবে কংগ্রেসের দাবি তারাই সরকার গড়ছে হরিয়ানায়। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে আহমেদ প্যাটেলের সঙ্গে দেখা করেন হরিয়ানা কংগ্রেসের সভানেত্রী কুমারী শৈলজা।
প্রাক্তন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং হুডা বার্তা দিয়েছেন, জনাদেশ বিজেপির বিরুদ্ধে গিয়েছে। বিরোধীদের সম্মান দিয়ে জোট করতে রাজি কংগ্রেস। বিজেপি শরিকদের সঙ্গে প্রতারণা করে এসেছে। কর্মসংস্থান, আর্থিক অনটন, মন্দার মতো বিষয়গুলি শুধুমাত্র ৩৭০ অনুচ্ছেদ বা পাকিস্তান দিয়ে চাপা দিতে পারল না বিজেপি বলে মনে করা হচ্ছে।