দেশ

মরু রাজ্যে ছাত্রীকে গণধর্ষণ!‌ অধরা অভিযুক্তরা

এ যেন ফের নির্ভয়া কাণ্ডের ছায়া। তবে ঘটনাস্থল দিল্লি নয়। তবে ঘটনাটি প্রায় একই। ১৯ বছরের তরুণীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হল নির্জন জায়গায়। তার পর চলন্ত গাড়িতে টানা ৫ ঘণ্টা ধরে চলল নৃশংস অত্যাচার। একের পর এক ধর্ষণ করল তাঁকে। নির্যাতিতা দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী তখন বাঁচার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু পাঁচজনের সঙ্গে একা পেরে ওঠেননি। অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার তিনদিন পরও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলে খবর।
নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, শুক্রবার রাজস্থানের দৌসায় ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা। কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর ১ নভেম্বর ভোর ৫টা নাগাদ কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিলেন। তখনই তিনজন তাঁকে অপহরণ করে জোর করে গাড়িতে তুলে নেয়। চলন্ত গাড়ির ভেতরে তার চোখ বেঁধে ফেলা হয়। তারপর নিয়ে যাওয়া হয় নির্জন জায়গায়। গাড়ি চলতে চলতে তাঁর শরীর থেকে সব জামাকাপড় খুলে নেওয়া হয়। তারপর পাঁচ ঘণ্টা ধরে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। প্রত্যেকেই এই পাশবিক নির্যাতনের সঙ্গে যুক্ত হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করলে তাকে খুন করা হবে বলে হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। ঘন্টার পর ঘন্টা নির্যাতনের পর অভিযুক্তরা মেয়েটিকে সকাল ১০টা নাগাদ লালসোত এলাকায় ফেলে পালিয়ে যায়। লালসোত এলাকার সার্কেল অফিসার মনরাজ মীনা জানান, ‘‌খুব ভোর হওয়ায় রাস্তায় লোকজন বিশেষ ছিল না। নির্যাতিতা অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে নাম জানিয়েছে। তাদের মধ্যে দু’‌জন তাঁর কাছেরই গ্রামে থাকে। আর তৃতীয়জনকে মেয়েটি শুধু নামে চেনে।’‌
মেয়েটি তিনজনেরই পূর্ব পরিচিত বলেও মনে করছে পুলিশ। মেয়েটির মেডিকেল পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে বয়ান। তদন্ত শুরু হলেও এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অপরাধের সময় ব্যবহৃত গাড়িটি খুঁজে বের করতে সিসিটিভি’‌র ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।