কয়েকদিন আগেই ভারত সফরে এসেছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেখানে সীমান্তে সন্ত্রাসবাদ এবং বিতর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। তারপর এই প্রথম অরুণাচল প্রদেশের ফিশ টেইল ২–তে সমঝোতা নজরদারি কো–অর্ডিনেট পেট্রলিং চালালো ভারত এবং চীনের সেনাবাহিনী। ফলে দু’দেশের সেনা জওয়ানদের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি পাবে এবং এলাকার শান্তিরক্ষা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, মাছের ল্যাজের মতো দেখতে হওয়ায় এর নামকরণ ফিশ টেইল। এটা হিমবাহে ঢাকা অঞ্চল। ভারতের শেষ সেনা ছাউনি থেকে এখানে পেট্রলিংয়ের জন্য বাহিনী আসতে এক মাসের ওপর সময় লেগে যায়। রাস্তার অবস্থাও অত্যন্ত খারাপ। গত জুন মাসে চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মিকে ফিশ টেইল ২–তে সমঝোতা নজরদারির প্রস্তাব দেয় ভারত। সেই প্রস্তাবে মেনে নেয় চীন সেনা। চীনের সঙ্গে ভারত সম্পর্ক ভাল করতে চায় একটাই কারণে, তা হল পাকিস্তানকে কোণঠাসা করা। পাকিস্তান চীনকে মাঝখানে রেখেই ভারতের সঙ্গে বারবার বৈরিতা তৈরি করেছে। তাই চীনকেই এবার কাছে টেনে নিল ভারত।
সমঝোতা পেট্রলিংয়ের অর্থ– দুই বাহিনী পেট্রলিংয়ের বেরনোর সময়ে একে অন্যকে তাদের গতিবিধির কথা জানিয়ে দেবে। ডোকা লা এলাকায় ভারত–চীন সেনার মধ্যে ৭৩ দিন ধরে চলা যুদ্ধংদেহী পরিস্থিতির পর এই পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ একদিকে সিয়াচেনের অদূরেই চীন সীমান্ত। সেখান থেকে যেন পাকিস্তানের সেনারা এখানে ঢুকে পড়ে হামলা চালাতে না পারে। অন্যদিকে চীনের ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড যেন ভারত ভূখণ্ডের মধ্যে দিয়ে না যায়। সবশেষে চীনের ওপরও যাতে নজর রাখা যায়।