স্বাস্থ্য

ব্রকলির যত গুন

ফুলকপির মতো দেখতে হলেও পুষ্টিগুণে ব্রকলিই থাকবে এগিয়ে। এতে জলের পরিমাণ বেশি থাকায় সুস্থতার জন্য জুড়ি নেই এই সবজির। স্যালাড থেকে শুরু করে ফ্রায়েড রাইস বা চাউমিনেও নিশ্চিন্তে দিতে পারেন ব্রকলি। নিরামিষ তরকারি হিসেবে রান্না করেও খেতে পারেন। ভিটামিন কে, আয়রন, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ব্রকলিতে ফ্যাট নেই বললেই চলে। ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভনয়েড, লিউটেন, ক্যারোটিনয়েড, বিটা-ক্যারোটিনসহ উচ্চমানের নানা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে তাই রোগ প্রতিরোধে এই সবজি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ক্যালোরি কম থাকায় ওজন বাড়ার কোনও সুযোগই নেই। এতে জলের পরিমাণ প্রায় ৯০ শতাংশ। শরীরে জলের ভারসাম্য ধরে রাখতে তাই ব্রকলি নিয়মিত খেতে পারেন। রক্ত সঞ্চালনেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে ব্রকলি। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এই সবজি। ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম থাকায় হাড়ের জোর বাড়াতেও কাজ করে ব্রকলি। পটাশিয়াম থাকায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে পারে। ব্রকলিতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও কেমফেরল যা অ্যালার্জি থেকে দূরে রাখে। ব্রকলির গ্লুকোরাফানিন ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের টিস্যু মেরামত করতে সাহায্য করে।