স্বাস্থ্য

ব্যায়াম নিয়ে সতর্কতা

সবাই বলছেআপনি মোটা হয়ে যাচ্ছেন? তাই শরীর ফিট রাখতে তাড়াতাড়ি শুরু করে দিলেন ব্যায়াম।কিন্তু ব্যায়াম শুরু করার কয়েকদিন পরেই নানারকম ব্যথায় কাবু। ফলাফল বেড রেস্ট।শরীর ফিট রাখতে গিয়ে নিজে হয়ে গেলেন আনফিট। আমাদের প্রত্যেকের শরীরের ধরণ এক নয়।কাজের চাপ, টেনশন, হাঁটু ব্যথা, কোমরে ব্যথা, মুটিয়ে যাওয়ার মতো কোনও না কোনওসমস্যা হয়তো কম-বেশি আমাদের সবারই আছে। কিন্তু হাঁটু ব্যথার জন্য যে ব্যায়ামউপযুক্ত, কোমরে ব্যথার জন্য সেটা উপযুক্ত নাও হতে পারে। তাই শুরু থেকেই হতে হবেসচেতন। হয়তো না জেনেই সকাল-বিকাল হাঁটা শুরু করলেন, তারপর জানতে পারলেন আপনার জন্যহাঁটা একেবারেই ঠিক নয়। ততদিনে আপনার পায়ের যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গেছে। একদম হিতেবিপরীত। এটা ভাববেন না, ব্যথায় ভুগছেন বলে কোনও ব্যায়ামই আপনি করতে পারবেন না। ব্যথারসমস্যায় আপনি ব্যায়াম করতেই পারেন। শুধু আপনাকে জানতে হবে আপনার জন্য কোনব্যায়ামটা উপযুক্ত। নিতে হবে সতর্কতা।

হাঁটুতে ব্যথা থাকলে

আমাদের অনেকেরমধ্যেই হাঁটু ব্যথার সমস্যা কম-বেশি দেখা যায়। হাঁটু ব্যথা থাকলে এমনিতেইডাক্তারের নানারকম বাধানিষেধ থাকে। মাটিতে পা ভাঁজ করে বসতে বা বেশি সিঁড়ি ভাঙতেমানা করা হয়। হাঁটুতে ব্যথা থাকলে হাঁটুর উপর আলাদা করে চাপ পড়ে এমন ব্যায়াম করাঠিক নয়। তাতে বরং ব্যথা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সিঁড়ি ভাঙ্গা, দৌড়ানো বা এ ধরণেরস্টেপ এক্সারসাইজ এড়িয়ে যেতে হবে। হাঁটতে চাইলে নরম জায়গায় হাঁটুন। পার্কে বাবাগানের সবুজ ঘাসের উপর হাঁটুন। কংক্রিটের রাস্তায় হাঁটলে কোনো উপকার তো হবেই না,উল্টো পায়ের উপর চাপ পড়বে।

কোমরে বা পিঠে ব্যথার সমস্যায়

কোমরে বা পিঠেব্যথা থাকলে ভারি কিছু তোলা যায় না, ঝুঁকে কোনো কাজ করাও ঠিক নয়। তাই কোমর বা পিঠেব্যথা থাকলে ওয়েট তুলতে হয় এমন ধরণের ব্যায়াম করা যাবে না। অনেক সময় ভুল ব্যায়ামকরলে কোমরের হাড় সরে যেতে পারে। তাই এই ধরণের সমস্যা থাকলে ব্যায়াম শুরুর আগেঅবশ্যই চিকিৎসকের মতামত নিতে হবে।

তলপেটের মেদ কমাতে

আমাদেরঅনেকেরই চিন্তা তলপেটের মেদ নিয়ে। এই বাড়তি মেদ ঝরানোর জন্য নানারকম কসরত করতেওআমরা পিছপা হই না। কিন্তু তলপেটের মেদ ঝরাতে ব্যায়ামের চাইতেও বেশি প্রয়োজন ঠিকঠাকডায়েটিং।

সার্জারির পরে

সিজারিয়ানডেলিভারি, পিত্তথলীর পাথর অপসারণ বা এপেনডিসাইটস ইত্যাদি সার্জারির পর কিছুদিনথেকে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় শরীরকে আগের অবস্থায় আসার জন্য দিতে হয়। এই সময়চিকিৎসকেরা যেকোনো ব্যায়াম করা থেকে সবাইকে বিরত থাকতে বলেন। তাই এই ধরণের কোনোসার্জারির পর চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজ থেকে ব্যায়াম শুরু করবেন না।

ঘাড়ে ব্যথা হলে

ঘাড়ে ব্যথায়ঘাড়ে চাপ পড়তে পারে যে ধরণের ব্যায়ামে, তা না করাই ভালো। শরীরের ওপরের অংশের কোনোপুশ-আপ করার সময়ও সতর্ক থাকতে হবে। এই সময় ব্যায়াম করতে হলে তা অভিজ্ঞ ট্রেইনারেরসাহায্য নিয়ে করা উচিত।