প্রায়ই ভারতের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ছে পাকিস্তানের ড্রোন। সোমবার রাতেই পাকড্রোন গুলি করে নামিয়েছেন ভারতের নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী(বিএসএফ)। পাঞ্জাবের আকাশেও পাক ড্রোনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিরাপত্তার স্বার্থে এবার বিএসএফের হাতে অ্যান্টি–ড্রোন সিস্টেম তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ফলে ভারত–পাক মধ্যস্থতা যে হচ্ছে না তা ফের স্পষ্ট হয়ে গেল। এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে কী ভারত–পাক যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী?
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, কাশ্মীরে কর্তব্যরত বিএসএফের হাতে এই ড্রোন ধ্বংসের অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে। জম্মু–কাশ্মীরে ২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্তে নজরদারি চালাতে হয় বিএসএফকে। বিএসএফ সূত্রে খবর, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে কাজ শুরু করেছি।’
উল্লেখ্য, সোমবার মাঝ রাতে জম্মুর আর্নিয়া সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমান্তে একটি পাক ড্রোন গুলি করে নামায় বিএসএফ। বিএসএফের এক অফিসার জানান, জম্মু–সাম্বা–কাঠুয়া সেক্টরে খুব শিগগিরই অ্যান্টি–ড্রোন সিস্টেম বসতে চলেছে। তাই জম্মু–কাশ্মীরের জন্য ৫–৬টি ড্রোন ধ্বংস করার সিস্টেম আসছে। বিএসএফ জওয়ানদের প্রশিক্ষণ দেওয়াও শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বিএসএফ যে অ্যান্টি–ড্রোন সিস্টেম পাচ্ছে তা মাত্র ১০ সেকেন্ডের মধ্যে উড়ন্ত কোনও বস্তুকে নিশানা করতে পারবে। গভীর অরণ্য থেকে নদী সর্বত্র এই অ্যান্টি–ড্রোন সিস্টেম বসানো হবে। এটি চলবে রিচার্জেবল ব্যাটারিতে।