নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন–এনআরসি’র বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের আর্জি নিয়ে অ–বিজেপি রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী এবং দেশের সব বিরোধী নেতাকে চিঠি লিখেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার একই পথে হাঁটলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। একইসঙ্গে মমতাকেও আহ্বান করেছেন বিজয়ন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়াল–সহ দেশের ১১ জন মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বিজয়ন আবেদন করেছেন, দেশের গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে বজায় রাখতে এখন জোটবদ্ধ হতে হবে। দেশের বহু মানুষ এই আইনের বিরোধী। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
চিঠিতে তিনি লিখেছেন, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করাই সময়ের দাবি। পারস্পরিক মতানৈক্য সরিয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে এক হতে হবে গণতন্ত্র বাঁচাতে। আমরা নিশ্চিত, দেশের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য আরও শক্তিশালী হবে। এনআরসি আতঙ্কে এনপিআর সংক্রান্ত সমস্ত কাজ রাজ্যে স্থগিত করে দিয়েছে কেরল সরকার।
মমতার চিঠির প্রত্যুত্তর দিয়ে সংহতি প্রকাশ করেছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। পালটা চিঠি দিয়েছেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারও। প্রত্যাশিতভাবেই তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন জানিয়েছেন। মমতার উদ্দেশ্যে চিঠিতে শরদ পাওয়ার লিখেছেন, গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে। আপনার সঙ্গে আমি সহমত। গণতন্ত্র রক্ষায় যে কোনও কর্মসূচিতে যোগ করলে ভাল লাগবে। রাজ্যে বিরোধী হলেও জাতীয়স্তরে সিএএ বিরোধিতায় তৃণমূলকে নিয়ে ছুৎমার্গ নেই বামেদের বিজয়নের চিঠিই তার প্রমাণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
