অস্বস্তি বাড়ল বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের।পুনরায় ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালত। শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ অনুব্রত মণ্ডলকে পেশ করা হয় আসানসোল আদালতে। এদিন আদালত চত্বরে কড়া পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন জামিনের আবেদন করেননি অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। প্রায় দশ মিনিটের মধ্যে শুনানি শেষ হয়ে যায়। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিন আসানসোল আদালতের বিচারকের কাছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পেশ করে সিবিআই। শুক্রবার নতুন ১১৫ টি অ্যাকাউন্টের নথি জমা দেওয়া হয়েছে। এই অ্যাকাউন্টগুলি বাফার অ্যাকাউন্ট হিসেবে ব্যবহার করার হদিশ পেয়েছে সিবিআই। তার বিস্তারিত তথ্য আদালতের কাছে তুলে ধরা হয়। এদিন সিবিআইয়ের দাবি, এখনও পর্যন্ত ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকেরই দাবি, অ্যাকাউন্টগুলি তাঁদের খোলা নয় এবং টাকাও তাঁদের নয়।
প্রসঙ্গত,গরু পাচার কাণ্ডে বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকেই অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই আধিকারিকরা। তার কয়েকদিন পর ১৭ আগস্ট ফের তাঁর বাড়িতে যায় সিবিআই। অনুব্রতর সম্পত্তির খোঁজে তল্লাশি করতেই উঠে আসে তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের নাম। তাঁর নামে একাধিক সম্পত্তি ও কোম্পানির হদিশ মেলে। এছাড়াও সামনে আসে বোলপুরে কোটি কোটি টাকার জমির পাশাপাশি তৃণমূল নেতার একাধিক রাইস মিলের একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। কি করে এত সম্পত্তির মালিক হলেন সুকন্যা, তা জানতেই তাঁকে জেরা করে সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অনুব্রত ও সুকন্যার হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও। সেই তথ্যের ভিত্তিতে অনুব্রতকে জেরার পর গত ১৭ নভেম্বর গ্রেপ্তার করে ইডি।বাদ করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকেরই দাবি, অ্যাকাউন্টগুলি তাঁদের খোলা নয় এবং টাকাও তাঁদের নয়।