রাজ্য

ফাঁসির দাবিতে হাইকোর্টে কামদুনির পরিবার

এবার কামদুনির ধর্ষণে দোষী সাব্যস্তদের সাজা দ্রুত কার্যকরী করার দাবি তুলল পরিবার। কামদুনিতে মৃত তরুণীর ভাই এবং স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গে দেখা করেন। দায়রা আদালত ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি মূল অভিযুক্তের মধ্যে তিনজনের ফাঁসির সাজা এবং অন্য তিন জনের যাবজ্জীবন কারাবাস ঘোষণা করে। আর দুজনকে আদালত ছেড়ে দেয়। সাজা ঘোষণার আগেই মারা গিয়েছিল আর এক অভিযুক্ত। এদিন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে দ্রুত মামলা শেষ করে সাজা কার্যকরী করার আবেদন করেন মৃতের পরিবার।
উল্লেখ্য, কলেজ পড়ুয়া তরুণীকে ২০১৩ সালের ৭ জুন কামদুনিতে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে কলেজ থেকে ফেরার পথে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ এবং নৃশংসভাবে খুন করে একদল দুষ্কৃতী। দ্রুত শুনানি শেষে তিন বছরের মাথায় নগর দায়রা আদালত সাজা ঘোষণা করে। সাজাপ্রাপ্তরা তার পরেই হাইকোর্টে আবেদন করলেও মামলা এগোয়নি বলে অভিযোগ। হাইকোর্টে মৃতের পরিবারের আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় এবং শীর্ষেন্দু সিংহ রায় দ্রুত মামলা শেষে প্রয়োজনে নতুন করে আবেদনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, হায়দরাবাদের এনকাউন্টারকে সাবাসি দিচ্ছে সবাই। আমরা এটা সমর্থন না করলেও নাগরিকদের এই আচরণের বড় কারণ, বিচারের দীর্ঘসূত্রতা। কামদুনির ক্ষেত্রে এটা স্পষ্ট।
নির্যাতিতার ভাইয়ের অভিযোগ, তিন জনের ফাঁসির সাজা দ্রুত কার্যকরী করার সঙ্গেই যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদেরও ফাঁসির দাবি রয়েছে। কিন্তু বিচারের শ্লথ গতিতে কত দিনে সাজা চূড়ান্ত হবে সেটাই বোঝা যাচ্ছে না।