লিড নিউজ

প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফেসবুক পোস্ট, গ্রেপ্তার বাঙালি

দিল্লি হিংসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে ফেসবুকে পোস্ট করায় গ্রেপ্তার করা হল কলেজ শিক্ষককে। শিলচরে চরম হেনস্থার শিকার অতিথি অধ্যাপক। ক্ষমা চেয়েও মিলল না রেহাই। এবিভিপি’‌র ছাত্ররা এফআইআর করলে গ্রেপ্তার করা হয় প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনীকে। ওই অধ্যাপকের নাম সৌরদীপ সেনগুপ্ত। প্রেসিডেন্সির পদার্থবিদ্যা বিভাগের ছাত্র ছিলেন সৌরদীপ সেনগুপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সহ সম্পাদকও ছিলেন তিনি। বর্তমানে শিলচর গুরুচরণ কলেজের অতিথি অধ্যাপক।
সূত্রের খবর, দিল্লিতে হিংসার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে তিনি একটি ফেসবুক পোস্ট করেন। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, কলেজে গেলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তিনি ওই পোস্ট ফেসবুক থেকে সরিয়ে নেন। পরে ক্ষমাপ্রার্থনা করে পোস্টও করেন তিনি। তারপরও বাড়িতে চড়াও হয়ে ফেসবুক লাইভে তাঁকে ক্ষমা চাওয়াতে পরিবারের সদস্যদের চাপ দেওয়া হয়। তখন তিনি বাড়িতে ছিলেন না।
সৌরদীপের দিদি জানান, শনিবার একদল ছেলে চড়াও হয় সৌরদীপের বাড়িতে। পোস্ট তুলে নিয়ে সৌরদীপকে প্রকাশ্যে ক্ষমার চাওয়ার কথাও বলে তারা। শিলচরের ঘটনা বাক–স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। শিক্ষককে গ্রেপ্তারের ঘটনায় স্তম্ভিত বলে জানিয়েছেন শিক্ষাবিদ অমল মুখোপাধ্যায়। শিলচরে অতিথি অধ্যাপককে হেনস্থায় নিন্দার ঝড় উঠেছে স্যোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে। ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনায় গ্রেপ্তারি কেন? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বাড়ি ফিরতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে অসম পুলিশ। শিলচর সদর থানায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযুক্ত সৌরদীপ সেনগুপ্তকে গ্রেপ্তার করে। কলেজ থেকে সৌরদীপকে বরখাস্তেরও দাবি করেছেন পড়ুয়ারা। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভেদাভেদ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা–সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবিভিপি’‌র দাবি আংশিক সময়ের অধ্যাপক হলেও কলেজে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। তিনি নিয়ম ভেঙেছেন। ফেসবুকের বিতর্কিত সেই পোস্ট হিংসা ছড়াচ্ছে। তাই এফআইআর করা হয়েছে।