লিড নিউজ

প্রতিহিংসার ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধন, চড়ছে পারদ

বৃহস্পতিবারে যাত্রা শুরু ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রোর। সেক্টর ফাইভ থেকে করুণাময়ী পর্যন্ত চলবে ট্রেন। ট্রেন চলবে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। রবিবার দুপুরে ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে ট্রেন। তথ্যপ্রযুক্তি তালুকে পরিবহনের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে পথ চলা শুরু করছে ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো। এই ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রোর সূচনা ঘিরে তৈরি হল কেন্দ্র–রাজ্য সংঘাত। ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রোর সূচনা অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তাঁকে বাদ দিয়েই উদ্বোধন হবে। ডাকা হয়নি নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকেও। এমনকী আমন্ত্রিত নন মুখ্যসচিবও। এই ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ নবান্ন। ফলে এই উপেক্ষার প্রতিবাদে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন সুজিত বসু, কৃষ্ণা বসু এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদার। কিন্তু কেউই যাচ্ছেন না। রাজ্যের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিনিধিই উপস্থিত থাকবেন না।
কেন এমনটা হল?‌ শহরে মেট্রো রেলের যাত্রাপথের সূচনা করবেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। এই বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অতীত স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন মুকুল রায়। মুকুল রায় বলেন, ‘‌এটা ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। মমতাও তো রেলমন্ত্রী থাকাকালীন টালিগঞ্জ থেকে গড়িয়া বাজার মেট্রোর সম্প্রসারণে ডাকেননি তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। সালটা ২০০৯। তখন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টালিগঞ্জ থেকে গড়িয়া বাজার পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার লম্বা মেট্রোপথের সম্প্রসারণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী।’‌
উল্লেখ্য, তখন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু দাবি করেছিলেন, সরকারি টাকায় রাজনৈতিক অনুষ্ঠান করছেন রেলমন্ত্রী। ফলে বামপন্থীরাও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল। যা দেখিয়েছিলেন, সেটাই এখন উনি দেখছেন বলে মন্তব্য মুকুল রায়ের। মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, নিয়ম মেনেই সব কাজ হয়েছে। তাই সাংসদ, বিধায়কদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে।