নদিয়ার করিমপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে জয়প্রকাশ মজুমদারের হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া দুই নেত্রী রিমঝিম মিত্র ও রূপাঞ্জনা মিত্র। তাঁদের ওপর হামলা নেমে এসেছে। কিন্তু অভিযোগ পাওয়ার পরে বিজেপি’র এক স্থানীয় নেতাকে তুলে নিয়ে গিয়ে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ভুয়ো বয়ান দিতে পুলিশ বাধ্য করেছে বলে বিজেপি অভিযোগ করেছে। এই ঘটনা নিয়ে এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পথসভা চলাকালীন কিছু মানুষ তারকা নেত্রীদের কাছ থেকে দেখার জন্য ভিড় জমান। তখনই ধাক্কাধাক্কি–হুড়োহুড়ি শুরু হয়। ফলে রিমঝিমের সঙ্গে থাকা আরও কয়েকজন চোটও পান। এই গোটা ঘটনাটি ফেসবুকে লাইভ করেছেন রিমঝিম ও রূপাঞ্জনা। তাঁদের দাবি, বিজেপি কর্মকর্তাদের তৎপরতায় একটি অস্থায়ী বাঁশের সেলুনের ভেতর ঢুকে নিজেদের প্রাণে বাঁচান তাঁরা।
আক্রান্ত বিজেপি নেতা অনল বিশ্বাসের অভিযোগ, সভা যেখানে হচ্ছিল তার কাছেই একটা জায়গায় তৃণমূলের বুথ কমিটির বৈঠক চলছিল। আমাদের সভার ভিড়ের কথা জানতে পেরে ওঁরা সেই বৈঠক বন্ধ করে সভাস্থলে চলে আসেন। আমরা মঞ্চ থেকে নামতেই তৃণমূলের লোকজন ঝাঁপিয়ে পড়ে। রাতেই থানায় বিজেপি’র পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তৃণমূল কর্মীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে বিজেপির অভিযোগ। তবে তা অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। রিমঝিম, রূপাঞ্জনারা ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে বিজেপি’র স্থানীয় মণ্ডল কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রহ্লাদ সরকারকে তৃণমূলের লোকজন মারধর করে বলে বিজেপি’র অভিযোগ।
