পৃথিবীর খুব কাছাকাছি ব্ল্যাক হোলের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব এক হাজার আলোকবর্ষ। কিন্তু জ্যোতির্বিজ্ঞানের বিচারে পৃথিবী থেকে এই আলোকবর্ষ দূরত্বকে প্রতিবেশীর দূরত্বই বলা চলে। ইউরোপিয়ান সাদার্ন অবজারভেটারির বিজ্ঞানী থোমাস রিভিনিয়াস একটি গবেষণাপত্রে এই দাবি করেছেন। এর আগে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের ব্ল্যাক হোলটি ছিল ৩২০০ আলোকবর্ষ দূরে। ফলে বর্তমানে এটিই পৃথিবীর নিকটতম ব্ল্যাক হোল।
কিন্তু ব্ল্যাক হোলের আকর্ষণ ক্ষমতা এতই বেশি যে এটি থেকে আলো ঠিকরে বেরোতে পারে না। সে কারণে প্রতিফলিত রশ্মির সাহায্যে এটিকে দেখতে পাওয়া যায় না। মহাকাশে তাই এই ব্ল্যাক হোলটি খুঁজে বের করা একান্ত অসম্ভব।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, বেশিরভাগ ব্ল্যাক হোলের আশেপাশেই আর তার ভিতরে টেনে নেওয়ার মতো কিছু নেই। তাই এদের খুঁজে বের করা অসম্ভব।
বিজ্ঞানীরা এটিকে খুঁজে বের করতে পেরেছেন। কারণ এটির চারিদিকে তিনটি নক্ষত্র বা তারা মিটমিট করছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘নৃত্যরত তারা।’ সেগুলির গতিবিধি যেন মানু্ষের নাচের মতো, অনেকটা ব্যালে ডান্সের মতো। এই অপরূপ মহাজাগতিক দৃশ্য তাঁরা প্রত্যক্ষ করেছেন।
চিলিতে একটি টেলিস্কোপ ব্যবহার করে তারা দেখেছেন, সূর্যের থেকে চার-পাঁচ গুণ বড় একটি নক্ষত্রকে একটি অজানা কালো বিন্দু ক্রমশ নিজের দিকে টেনে নিচ্ছে। তাই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এ ব্ল্যাক হোল ছাড়া আর কিছু হতে পারে না।