ব্রেকিং নিউজ

পুলিশই চুরি করল ১৮টি বন্দুক!‌

যার উপর ছিল নিরাপত্তার দায়িত্ব, তিনিই চৌর্যবৃত্তি করে বসলেন। এক–আধটা নয়, একেবারে গুনে গুনে ১৮ খানা! থানা থেকে বন্দুক চুরির দায়ে গ্রেপ্তার করা হল এক এএসআই–কে। এই ঘটনাকে অনেকেই বলছেন মারি তো গণ্ডার লুঠিত ভাণ্ডার!‌ একের পর এক আগ্নেয়াস্ত্র চুরি যাচ্ছিল থানার মালখানা থেকে। শেষে ধরা পড়ল সর্ষের মধ্যেই ভূত! খোদ পুলিশ অফিসারই থানা থেকে ঝেড়ে দিচ্ছিলেন একের পর এক আগ্নেয়াস্ত্র!
১৮টি বন্দুক চুরি করেছেন তিনি। অভিযুক্তের নাম তারাপদ টুডু। তারাপদের সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও তিন জনকে। তাঁরা যদিও পুলিশ কর্মী নন। জেলা পুলিশের এক আধিকারিকের দাবি, বড় একটি অস্ত্রপাচার চক্র এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। লালগড় থানায় এএসআই পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। অভিযোগ, তখনই লালগড় থানা থেকে ১৮টি বন্দুক চুরি করেন তিনি। উল্লেখ্য, অভিযুক্ত তারাপদ টুডুই ছিলেন থানার মালখানার দায়িত্বে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০০৮ সাল থেকে পরবর্তী প্রায় চার বছর লালগড় থানা এলাকায় মাওবাদীদের হাত ধরে প্রচুর অস্ত্র ঢুকেছিল। তখন থেকেই বিভিন্ন সময়ে পুলিশ অনেক আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছিল। সেই বাজেয়াপ্ত অস্ত্র নিয়ে এখনও মামলা চলছে আদালতে। ফলে, উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রগুলি রাখা ছিল থানারই মালখানাতে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে একজন এনভিএফ কর্মী লক্ষ্মীরাম রানা এবং দিলীপ ও সুধাংশু নামে দুই গ্রামবাসী। লালগড় থানায় কর্মরত অবস্থায় তারাপদ টুডু ও লক্ষ্মীরাম রানা মিলে বন্দুকগুলি চুরি করে পাচার করত। তারাপদ জামবনিতে বদলি হওয়ার পর থানার মালখানার হিসেব দেখতে গিয়েই প্রকাশ্যে আসে অন্তত ১৮টি বাজেয়াপ্ত আগ্নেয়াস্ত্রের হদিশ নেই মালখানাতে। ধৃতদের ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।