এবার দার্জিলিংয়ে এনআরসির প্রতিবাদে খঞ্জনি বাজিয়ে প্রতিবাদে পথে হাঁটলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বুধবার দার্জিলিংয়ের ভানু ভবন থেকে মিছিল শুরু হয়। নেহরু রোড ধরে পদযাত্রা সোজা কাকঝোরায় যায়। সেখান থেকে পদযাত্রা ফিরে আসে দার্জিলিংয়ের মোটর স্ট্যান্ড চকবাজারে। মিছিলের পর এদিন ফের একবার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে তৃণমূল নেত্রীর স্পষ্ট ঘোষণা, বাংলায় এনআরসি–সিএএ হতে দেবেন না। সরাসরি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে এদিন মমতা জানান, দিল্লিতে বৈঠকে সব রাজ্যে উপস্থিত হয়েছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ তার অবস্থানে অনড়। তাই রাজ্যের তরফে কেউ বৈঠকে যোগ দেয়নি।
তৃণমূল নেত্রী হুঙ্কার দিয়ে বলেন, এনআরসি, সিএএ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। সবাইকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিলে দেশে থাকবে কে? রাজ্যে ডিটেনশন ক্যাম্প হবে না।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বড় বড় কথা বলছেন। তিনি সকালে এক কথা বলেন, বিকালে এক কথা। আমায় গালি দিয়ে দেশ খালি করা যাবে না। শুধু ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে লাঠি চার্জ করতে পারেন। দেশে দিনে দিনে বেকার সমস্যা বাড়ছে তার সমাধান কী তা বলুন।
বুধবার দার্জিলিংয়ে পদযাত্রা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেস, বিনয় তামাংদের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, পাহাড়ের ১৬টি জনজাতি উন্নয়ন বোর্ডের সমর্থকেরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এদিন রাস্তায় পা মেলান। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে এই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিলেন। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর এই কর্মসূচিকে ঘিরে পাহাড়ের আমজনতার মনে প্রবল কৌতূহল দেখা দেয়।