প্রজাতন্ত্র দিবসের ঠিক আগের দিন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এল। অসমের বড়পেটায় গ্রেপ্তার হল ৫ জেএমবি জঙ্গি। যাদের সঙ্গে বর্ধমান–খাগড়াগড় বিস্ফোরণের ঘটনার যোগ রয়েছে। এমনকী খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত ও বর্তমানে সাজাপ্রাপ্ত শাহানুর আলমের সঙ্গে একসঙ্গে শিমুলিয়া মাদ্রাসাতে প্রশিক্ষণও নিয়েছিল বড়পেটায় ধৃত জেএমবি জঙ্গিদের মধ্যে অনেকে। এনআইএ শুক্রবার গুয়াহাটি আদালতে যে চার্জশিট জমা দিয়েছে, তাতে এই কথার উল্লেখ আছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অসমের বড়পেটায় একটি বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। বাড়ির মালিক হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। সে একজন প্রশিক্ষিত জেএমবি জঙ্গি। তল্লাশি চালাতেই তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র ও বিস্ফোরক। উদ্ধার হয় জিহাদি বইপত্র। অসমের একাধিক জঙ্গি সংগঠনের নথিপত্রও উদ্ধার হয়। জেএমবি’র নথি, আলফার নথিও উদ্ধার হয়। এরপর ধৃত হাফিজুরকে জেরা করেই রাতে আরও ৪ জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতরা হল ইয়াকুব আলি, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও মহম্মদ হাফিজ সফিকুল ইসলাম। এরপরই ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ।
ডিসেম্বরে তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তদন্তে উঠে আসে, ২০১৪ সালের খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডের কিছু আগেই শাহানুর আলমের সঙ্গে পরিচয় হয় বড়পেটার অভিযুক্তদের। শাহানুরই তাঁদের জেএমবি–তে নিযুক্ত করে। শিমুলিয়া মাদ্রাসাতে প্রশিক্ষণ দেয়। বিস্ফোরণের ঘটনাতেও ধৃতদের যোগ মেলে। রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে আলফার সঙ্গে নাশকতা ঘটানোর পরিকল্পনাও করেছিল এরা। চার্জশিটে উল্লেখ, বাংলা ও অসমের জেএমবি ইউনিট একসঙ্গে তৈরি হচ্ছিল। অসমে বসেই সমস্ত রাজ্যের জেএমবি ইউনিটকে একত্রিত করে শক্তিশালী হামলার ছক কষা হয়েছিল।
